—প্রতীকী চিত্র।
তৃণমূলের বৈঠকে উত্তেজনা। বিধায়ক ও কাউন্সিলরের বিতণ্ডার জেরে দলের গোষ্ঠীকোন্দল ফের সামনে এল। পূর্ব বর্ধমানের কালিবাজারের ঘটনা।
বুধবার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ে বৈঠকের সময়ে বিধায়ক ও কাউন্সিলরের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের জেরে কার্যত ‘রণক্ষেত্র’ হয়ে উঠেছিল। দলীয় সূত্রে খবর, জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের আহ্বানে এসআইআর ও বুথ স্তরের সাংগঠনিক পর্যালোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছিল উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার-সহ জেলার একাধিক বিধায়ক, ব্লক ও টাউন সভাপতি, শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধি ও জেলা যুব সভাপতি। ওই বৈঠকের শুরুতেই উত্তেজনার সূত্রপাত। বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস ও জেলা যুব সভাপতি তথা বর্ধমান পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাসবিহারী হালদারের মধ্যে শুরু হয় বিতণ্ডা। পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে বিধায়কের উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কাউন্সিলর। জেলা সভাপতি প্রথমে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করে বলেছিলেন, ‘‘এখানে পুরসভার বিষয় নিয়ে এখন আলোচনা নয়। সাংগঠনিক পর্যালোচনা নিয়ে এই বৈঠক হচ্ছে।’’ তখনকার মত পরিস্থিতি ‘শান্ত’ হলেও বৈঠকের শেষের দিকে ফের পুরান ইস্যু ‘উস্কে’ ওঠে। এর পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিধায়ক। তিনি বলেন, ‘‘আমি ১৪ বছর বয়স থেকে রাজনীতি করছি। তোদের কাছে রাজনীতি শিখব না।’’ পাল্টা রাসবিহারী বলেন, ‘‘আমি পিএইচডি পাশ করা ছেলে, আপনার কাছে রাজনীতি শেখার দরকার নেই।’’ পরক্ষণেই বিধায়কের জবাব, ‘‘তুই পিএইচডি হতে পারিস, আমিও উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছি।’’ তখন রাসবিহারীর কটাক্ষ, ‘‘আপনি তো ফোর পাশ!’’ চ্যালেঞ্জ জানিয়ে খোকন বলেন, ‘‘তুই রাজ স্কুলে গিয়ে দেখে আয়।’’
বৈঠকের পরিবেশ ক্রমশ উত্তপ্ত হতে থাকায় উপস্থিত অন্যান্য বিধায়ক ও জেলা নেতৃত্ব দুই পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। শেষ পর্যন্ত আসরে নামতে হয় আইপ্যাককে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পরে বিধায়ক, কাউন্সিলর ও জেলা সভাপতি এই প্রসঙ্গে ‘স্পিকটি নট্’ অবস্থান নিয়েছেন। ‘দলীয় শৃঙ্খলা’-র কথা ভেবে প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন না কেউই। তবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসায় অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে জোড়াফুল শিবিরকে।