এই পোস্ট ঘিরে বিতর্ক। ছবি: সমাজমাধ্যম সূত্রে পাওয়া
গত ৭ ডিসেম্বর আসানসোলে এক সমাবেশে মন্ত্রী মলয় ঘটক দাবি করেছিলেন, ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে কুলটিতে তৃণমূল প্রার্থী দশ হাজার ভোটে জয়ী হবেন। এর পরেই তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্য যুব সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সমাজমাধ্যমে একাধিক পোস্ট দলের অন্দরে অস্বস্তি বাড়িয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। কুলটির প্রাক্তন বিধায়ক উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়কে আগামী বিধানসভা ভোটে কুলটিতে প্রার্থী করার পক্ষে সওয়ালের পাশাপাশি, গোষ্ঠী-কোন্দল নিয়ে দলের একাংশকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিশ্বজিৎ।
২০২১ বিধানসভা ভোটে উজ্জ্বলকে হারিয়ে কুলটি আসনে জেতেন বিজেপির অজয় পোদ্দার। সেই কথা মনে করিয়ে দিয়ে বিশ্বজিৎ সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় আজ পর্যন্ত হারেননি। তিন বারের বিধায়ক উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়কে হারানোর মতো ক্ষমতা কারও নেই। কিন্তু আমাদের দলের মধ্যেই একটা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ছিল, যে কারণে ছ’শোর মতো ভোটে হেরেছিলেন। কিন্তু এ বার সেটা হবে না।’’ দলের মধ্যে এখনও গোষ্ঠী-কোন্দল রয়েছে স্বীকার করে বিশ্বজিতের বার্তা: ‘‘উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়ের বিরোধিতা করার কেউ চেষ্টা করলে বরদাস্ত করা হবে না।’’
বিশ্বজিৎ আরও লিখেছেন, ‘এ বার তৃণমূলের থেকে উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়ের বিরোধিতা নয়।’ বিশ্বজিতের লেখায়: ‘আমার চরিত্র নিশ্চয়ই সকলের জানা আছে—আমি কারও জন্য মরতেও পারি, আবার মারতেও পারি।’ এখানেই শেষ নয়। উজ্জ্বলকে 'কুলটির জননেতা' আখ্যা দিয়ে আরও একটি পোস্টে বিশ্বজিৎ লিখেছেন, ‘আজ যারা নখের যোগ্য নয়, তারা নীল বাতি-লাল বাতি নিয়ে নির্বাচনের সময়ে নিজের গোষ্ঠী তৈরি করে তাঁকে হারানোর চেষ্টা করবে। তারা শুনে রাখো—এক দিকে মেনধমা রেলগেট, অন্য দিকে বাইপাস চৌরঙ্গী, কোনও দিক থেকে ঢুকতে পারবে না। এ বার যদি কেউ গ্রুপবাজি করে উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়কে হারানোর চেষ্টা করে, তা হলে আমার থেকে খারাপ আর কেউ হবে না।’
বিজেপির আসানসোল জেলা সভাপতি দেবতনু ভট্টাচার্যের প্রতিক্রিয়া, ‘‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই তৃণমূলকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছে। ২০২৬ নির্বাচনে তারা নিজেরাই নিজেদের হারাবে, ক্ষমতা থেকে সরাবে। তৃণমূলের একাংশ এই তৃণমূলকে চাইছেন না।’’ তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ভি শিবদাসনের প্রতিক্রিয়া, “আমি বিশ্বজিৎ-প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে চাই না। উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় তৃণমূলের নেতা আছেন, থাকবেন।” উজ্জ্বল অবশ্য এ নিয়ে মন্তব্যে রাজি হননি।
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে