—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
পুলিশকে পেটানোর ঘটনায় গ্রেফতার তৃণমূল নেতা। পুলিশ পিটিয়ে আসামি ছিনতাইয়ের অভিযোগে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে গ্রেফতার করা হল তৃণমূল নেতা গোলাম মোল্লাকে। বাড়ি আউশগ্রামের বেলেমাঠ গ্রামে। গোলাম মোল্লা আউশগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের অমরপুর অঞ্চল তৃণমূল সভাপতির পদে রয়েছেন। যদিও তাঁর পাশে দাঁড়ায়নি দল। আউশগ্রাম ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি আব্দুল লালন বলেন, ‘‘আমাদের দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, আমরা দলীয় পদে থেকে কখনওই প্রশাসনের বিরোধিতা করব না। কারণ প্রশাসনও আমাদেরই। এই অবস্থায় যদি কেউ প্রশাসনের কাজে বাধা দিতে যান, প্রশাসন আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। এ ক্ষেত্রে দলকে যদি কঠিন কোনও সিদ্ধান্ত নিতে হয়, তা হলে দলও পিছপা হবে না।’’
ঘটনার সূত্রপাত গত ২৭ সেপ্টেম্বর। অমরপুর গ্রামপঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান বেলেমাঠ গ্রামের বাসিন্দা এবাদত শেখকে ব্যাপক মারধর করার অভিযোগ ওঠে গোলাম মোল্লার কয়েক জন অনুগামীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, এবাদত শেখ তাঁর মেয়েকে হোস্টেল থেকে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছিলেন দুর্গাপুজোরগ ছুটি পড়ে যাওয়ার কারণে। বিষ্ণুপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে এবাদত পৌঁছোতেই তাঁকে বেলেমাঠ গ্রামেরই চার জন ঘিরে ধরে ব্যাপক মারধর করেন। এবাদত শেখের স্ত্রী মোমেনা বেগম ওই ঘটনায় জাকির শেখ, আমানত শেখ, জীবন মোল্লা এবং নাসির শেখ এই চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। এবাদতকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এরপর অভিযুক্তরা ধরা না পড়লে কয়েকদিন পর এবাদত শেখ জেলার পুলিশ সুপারের কাছে নালিশ জানান।
অভিযোগ, পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করতেই গোলাম মোল্লার নেতৃত্বে থাকা ব্যক্তিরা লাঠি-রড হাতে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়ে। এতে তিনজন পুলিশকর্মী আহত হন। বিশৃঙ্খলার সুযোগে অভিযুক্ত আমানত শেখকে ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।
জখম পুলিশ কর্মীদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় বননবগ্রাম গ্রামীণ হাসপাতালে। ঘটনার পরই আউশগ্রাম থানায় স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মামলা দায়ের করে পুলিশ। তদন্তে নেমে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করা হয় তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি গোলাম মোল্লাকে।