খুনে পুলিশ হেফাজত খোকনের, গ্রেফতার মা

 অন্য একটি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে খোকনের মাকেও। পাইপগান-সহ ওই মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে মহকুমা পুলিশের দাবি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাটোয়া শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০১৮ ০২:৫৭
Share:

গ্রাম্য বিবাদের জেরে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় তৃণমূল নেতা তথা বেরুগ্রামের বিদায়ী পঞ্চায়েত সদস্য খোকন কাজি এবং এনাই শেখকে সাত দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে কাটোয়া আদালত।

Advertisement

অন্য একটি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে খোকনের মাকেও। পাইপগান-সহ ওই মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে মহকুমা পুলিশের দাবি।

পুলিশ সূত্রের খবর, গরুর গাড়ির ধাক্কায় কুলুট গ্রামের এক বাসিন্দার মোটরবাইকের টুলবক্স ভেঙে যাওয়াকে কেন্দ্র করে বুধবার রাতে বচসার সময় মারধর করা হয় বেরুগ্রামের নুর ইসলাম শেখকে (৪২)। বৃহস্পতিবার ভোরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় নুরের। ঘটনায় কুলুটের তৃণমূল নেতা তথা বেরুগ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য খোকন কাজি-সহ ২২ জনের বিরুদ্ধে মারধর ও খুনের অভিযোগ দায়ের করেন নিহতের ভাই তাজিরুল শেখ। ওই রাতেই খোকন ও তাঁর শাগরেদ এনাইকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

Advertisement

বৃহস্পতিবার গভীর রাতে গ্রেফতার করা হয় খোকনের প্রৌঢ়া মা নুরজাহান বিবিকে। পুলিশের দাবি, বিছানার নীচে পাইপগান নিয়ে শুয়েছিলেন নুরজাহান। তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করা রুজু করেছে পুলিশ। শুক্রবার তাঁকে কাটোয়া আদালতে তোলা হলে ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ হয়।

খোকন ধরা পড়ায় খুশি নিহত নুর ইসলামের পরিবার এবং বেরুগ্রামের বাসিন্দারা। কেতুগ্রামের ওই তল্লাটে খোকন সমাজবিরোধী বলেই পরিচিত। বছর তিনেক আগে বেরুগ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান, তৃণমূলের বাদশা শেখ খুনের মামলাতেও নাম জড়ায় এই খোকনের। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, এলাকার দোকানদারদের ভয় দেখিয়ে তোলাবাজি করেন খোকন। এমনকি ২০১৩ সালে পঞ্চায়েত ভোটে জেতার পর থেকে তাঁর সম্পত্তি ফুলেফেঁপে উঠছিল। ট্রাক্টর, গাড়ি কেনার পাশাপাশি বাদশাহী সড়কের ধারে কুলুট বাসস্ট্যান্ডে খোকন সম্প্রতি একটি হোটেলও খোলেন বলে জানান তৃণমূলকর্মীদের একাংশ।

তৃণমূল সূত্রের খবর, ইদানীং কেতুগ্রামের বিধায়ক শেখ সাহানেওয়াজের সঙ্গেও খোকনের সম্পর্কে চিড় ধরে। তাই এ বার পঞ্চায়ত ভোটে দলের টিকিট পাননি খোকন। নিহতের ভাই মতন শেখের অভিযোগ, ‘‘খোকন এলাকার ত্রাস ছিল। তবে বাকি অভিযুক্তদেরও গ্রেফতার করুক পুলিশ। দুষ্কৃতীদের সবাই ধরা না পড়ায় আমাদের পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’’ বিধায়ক বলেন, ‘‘পুলিশ প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করুক।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন