আদালতে আত্মসমর্পন করতে গিয়েও বেরিয়ে গেলেন ঠিকাদারকে মারধরে অভিযুক্ত দুর্গাপুরের তৃণমূল কাউন্সিলর হিরা বাউড়ি। গত ৪ জুন শহরের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে রাস্তা তৈরির সময়ে টাকা চেয়েও না পাওয়ায় এক ঠিকাদার ও তাঁর আত্মীয়কে মারধরের অভিযোগ ওঠে ওই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করতে পারেনি। শেষে ২৪ জুলাই আদালত অভিযুক্তকে এক মাসের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়। তা না হলে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয় পুলিশকে।
সোমবার অভিযুক্ত হিরা বাউড়ি আইনজীবী দেবব্রত সাঁইয়ের সঙ্গে দুর্গাপুর আদালতে যান। অভিযুক্তের পরিচয়পত্র জমা দেওয়ার পরে হঠাৎ দেবব্রতবাবু এসিজেএম বিচারক আদিত্য গুঞ্জনের কাছে আর্জি জানান, এ দিন নয়, তাঁর মক্কেল দু’এক দিনের মধ্যে আত্মসমর্পন করবেন। কারণ, কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আনা হয়নি। এ কথা বলেই দেবব্রতবাবু অভিযুক্তকে নিয়ে বেরিয়ে যান বলে সেই সময়ে আদালতে হাজির পুলিশকর্মী ও অন্য আইনজীবীরা জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রবীণ এক আইনজীবী বলেন, ‘‘বিচারক আর্জি মঞ্জুর করেছেন কি না তা জানানোর আগে আদালত ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়া অনুচিত।’’ হিরা বাউড়ির ফোন বন্ধ থাকায় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে তাঁর আইনজীবী দেবব্রতবাবু দাবি করেন, সব কাগজ না থাকায় এ দিন অভিযুক্তকে আত্মসমর্পণ করানো যায়নি। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই আত্মসমর্পণ করবেন ওই কাউন্সিলর।