সাতসকালে শহরের প্রাণকেন্দ্রে বেসরকারি ব্যাঙ্কের এটিএম থেকে ‘চেক ড্রপ বক্স’ ভেঙে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করল দুষ্কৃতীরা। মঙ্গলবার দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে অভিযুক্তদের মধ্যে এক জন পালিয়ে যায়। আর এক জনকে ধরে ফেলেন আশপাশের লোকজন। তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এই ঘটনার পরে ফের প্রশ্ন উঠেছে এটিএমের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল ৭টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে কল্পতরু কমপ্লেক্সের এক বেসরকারি ব্যাঙ্কের শাখার পাশে এটিএম কাউন্টারে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, দুই দুষ্কৃতী কাউন্টারের ভিতরে ঢোকে। কর্তব্যরত নিরাপত্তারক্ষী পলাশ লাহা তখন বাইরে দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁর দাবি, দুই যুবক টাকা তুলতে ঢুকেছে বলে মনে করেছিলেন তিনি। কিন্তু দু’জন চেক ড্রপ বক্সটি ভেঙে সেটি নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। তখন ওই রক্ষী চিৎকার করতে করতে তাদের পিছু ধাওয়া করেন। আশপাশের বাসিন্দারা ছুটে আসেন। তাঁরা জানান, দু’জনের মধ্যে এক জন দৌড়ে একটি গাড়িতে উঠে পালিয়ে যায়। অন্য জনকে ধরে ফেলেন বাসিন্দারা। তাঁদের একাংশের অভিযোগ, ওই দুষ্কৃতী ছুরি বার করেছিল। কিন্তু বাসিন্দাদের হাত থেকে পালাতে পারেনি। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম গৌরব কুমার। বাড়ি বিহারের পটনায়। জমা পড়া চেকের নাম কোনও রাসায়নিক দিয়ে বদলে দিয়ে নিজেদের নামে করে নেওয়ার চক্র দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন জায়গায় সক্রিয় রয়েছে। পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃত জানিয়েছে, চেকগুলি বিহারের এক জনকে দেয় তারা। এই কাজের জন্য টাকা পায়। ওই ব্যক্তি চেকগুলি নিয়ে কী করে, তা তাদের জানা নেই। পুলিশের অনুমান, চেক থেকে গ্রাহকের নাম, অ্যাকাউন্ট নম্বর, আইএফএসসি কোড জানা যায়। তা সাইবার ক্রাইমের কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে।
দিনের আলোয় এমন ঘটনায় এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সিটি সেন্টারের বাসিন্দাদের অনেকে। তাঁদের ক্ষোভ, কখনও বাড়িতে ঢুকে বৃদ্ধকে খুন, কখনও পথচলতি মহিলার গলা থেকে হার ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ ঘটেই চলেছে। পুলিশের আশ্বাস, নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে।