রেললাইনে ক্ষতবিক্ষত জোড়া দেহ

এক তরুণ-তরুণীর ক্ষতবিক্ষত দেহ মিলল রেললাইনে। বৃহস্পতিবার রাতে অম্বিকা কালনা এবং গুপ্তিপাড়া স্টেশনের মাঝামাঝি কুলেদা এলাকা থেকে দেহদুটি মেলে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম প্রসেনজিৎ হাজরা (২৮) এবং প্রতিমা দাস (১৮)।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কালনা শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০১৮ ০২:২২
Share:

প্রতীকী ছবি।

এক তরুণ-তরুণীর ক্ষতবিক্ষত দেহ মিলল রেললাইনে। বৃহস্পতিবার রাতে অম্বিকা কালনা এবং গুপ্তিপাড়া স্টেশনের মাঝামাঝি কুলেদা এলাকা থেকে দেহদুটি মেলে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম প্রসেনজিৎ হাজরা (২৮) এবং প্রতিমা দাস (১৮)। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছেন ওই দু’জন।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রসেনজিৎ কালনা ২ ব্লকের শতপটী মালপাড়া এলাকার বাসিন্দা। মোবাইলের দোকান রয়েছে তাঁর। বছর খানেক আগে তাঁর সঙ্গে হুগলির সোমরা এলাকার বাকিপুরের প্রতিমার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হয় বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি। মাস তিনেক আগে দু’জনেই বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যান। সম্প্রতি ফিরে আসেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার বিকেল চারটে নাগাদ সাইকেল নিয়ে প্রসেনজিৎ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। প্রতিমার পরিবারের দাবি, বিকেলে প্রসেনজিতের ফোন যায় তাঁদের বাড়িতে। ফোন পেয়ে সাইকেলে নিয়ে প্রতিমাও বেরিয়ে যান। কালনা রেল পুলিশের দাবি, রাত দশটা নাগাদ খবর পৌঁছয় কুলেদহ এলাকার একপেড়ে সেতুর কাছে রেললাইনের পাশে প়ড়ে রয়েছে যুগলের মৃতদেহ।

মৃত যুবকের এক আত্মীয় সমীর হালদার জানান, ফিরে আসার পর প্রসেনজিৎ কথা দিয়েছিল স্ত্রীর সঙ্গে ভাল করে সংসার করবে। অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্ক রাখবে না। ওকে নানা ভাবে বোঝানোও হয়েছিল। তারপরেও এমন ঘটবে ভাবা যায়নি। প্রতিমার দিদি রমা দাস বলেন, ‘‘বোন এবার উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছে। বাবা-মা বারবার পড়াশোনা শেষ করার কথা বলত। কিন্তু একটা বিয়েবাড়িতে আলাপ হওয়ার পর থেকেই প্রসেনজিৎ মাঝেমাঝে ওকে ফোন করে ডাকত। কিন্তু এমন কাণ্ড ঘটাবে বুঝিনি।’’ পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন