একশো দিনের কাজে অশান্তি

একশো দিনের কাজ নিয়ে বিবাদের জেরে দু’টি পক্ষের সংঘর্ষে জখম হলেন দু’জন। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটে কাঁকসার বনকাটি পঞ্চায়েতের এগারো মাইলের কাছে রাধামোহনপুরে। আহত এক জনকে দুর্গাপুরে ভর্তি করানো হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাঁকসা শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০১৭ ০০:২৩
Share:

আহত গণেশবাবু। নিজস্ব চিত্র।

একশো দিনের কাজ নিয়ে বিবাদের জেরে দু’টি পক্ষের সংঘর্ষে জখম হলেন দু’জন। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটে কাঁকসার বনকাটি পঞ্চায়েতের এগারো মাইলের কাছে রাধামোহনপুরে। আহত এক জনকে দুর্গাপুরে ভর্তি করানো হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সকালে ওই গ্রামে একশো দিনের প্রকল্পে নর্দমা ও আগাছা পরিষ্কার চলছিল। কাজ শেষে শুকনো আগাছা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিচ্ছিলেন শ্রমিকেরা। সেই সময়ে গ্রামেরই কয়েক জন এসে কাজ বন্ধ করতে বলেন। তাঁরা দাবি করেন, তাঁদের কেউ-কেউ আগে একশো দিনের কাজ করেও মজুরি পাননি। অথচ, এখন তাঁদের কাজ না দিয়ে নতুন শ্রমিকদের দেওয়া হচ্ছে। কর্মরত শ্রমিকেরা প্রতিবাদ করেন। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা প্রদীপ অধিকারী অভিযোগ করেন, তাঁকে কোদালের বাঁট দিয়ে মারধর করা হয়। বাধা দিতে গিয়ে মার খান তাঁর ভাই গণেশ অধিকারীও। ধাক্কাধাক্কিতে গণেশ জ্বলন্ত আগাছায় পড়ে গিয়ে তাঁর হাতের কিছু অংশ পুড়ে যায়। গণেশবাবুকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

Advertisement

পরে দু’পক্ষই থানায় যায়। তবে সন্ধে পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। দু’টি পক্ষই নিজেদের তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক বলে দাবি করেছে। বাবলু বিশ্বাস নামে এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘আমরা সবাই তৃণমূলের কর্মী সমর্থক। কাজ করছিলাম। হঠাৎ এমন তৈরি পরিস্থিতি হয়ে গেল!’’ স্মৃতি মণ্ডল নামে এক মহিলা বলেন, ‘‘সবাই একই গ্রামের বাসিন্দা। বিবাদে জড়িয়ে লাভ কী?’’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসিন্দার অভিযোগ, ‘‘বেছে-বেছে কিছু লোককে কাজ দেওয়া হয়।’’

তবে এই ঘটনাকে দলের কোন্দল হিসেবে মানতে চাননি জেলা পরিষদ সদস্য তথা এলাকার তৃণমূল নেতা দেবদাস বক্সী। তিনি বলেন, ‘‘একটা ছোট ঘটনা ঘটেছে বলে জেনেছি। সবার কাজের দরকার। কিন্তু এক সঙ্গে সবাইকে তো আর কাজ দেওয়া সম্ভব নয়। খেপে-খেপে দিতে হয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন