Bengal STF

যৌনতার ফাঁদ পেতে চলত তথ্য পাচার, বর্ধমান থেকে পাকিস্তানি চর সন্দেহে গ্রেফতার দু’জন

পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার গভীর রাতে বর্ধমানে অভিযান চালিয়ে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। মুকেশকে ধরা হয় শহরের বিসি রোডে অবস্থিত বর্ধমান থানার উল্টো দিকের একটি বেসরকারি নার্সিংহোম থেকে। রাকেশকে ধরা হয় মেমারি পাওয়ার হাউস সংলগ্ন একটি আবাসন থেকে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৫ ০২:৪৫
Share:

ধৃতদের নাম মুকেশ রজক ও রাকেশ গুপ্তা। —প্রতীকী চিত্র।

যৌনতার ফাঁদ (হানিট্র্যাপ) পেতে দেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে দুই যুবক তা পাচার করতেন পাক সংস্থাকে। অভিযোগ, বর্ধমানে বাড়ি নিয়ে দেশবিরোধী কারবার চলছিল পাঁচ বছর ধরে। অবশেষে পশ্চিমবঙ্গ এসটিএফের হাতে গ্রেফতার হলেন তাঁরা। ধৃতদের নাম মুকেশ রজক ও রাকেশ গুপ্তা।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার গভীর রাতে বর্ধমানে অভিযান চালিয়ে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। মুকেশকে ধরা হয় শহরের বিসি রোডে অবস্থিত বর্ধমান থানার উল্টো দিকের একটি বেসরকারি নার্সিংহোম থেকে। রাকেশকে ধরা হয় মেমারি পাওয়ার হাউস সংলগ্ন একটি আবাসন থেকে। জানা গিয়েছে, ধৃতরা বিভিন্ন জায়গা থেকে বেনামে সিম কার্ড কিনে সেই সব নম্বর পাক গুপ্তচর সংস্থার হাতে পাঠাতেন হোয়াটসঅ্যাপ খোলার জন্য। ওই নম্বরগুলিতে ওটিপি এলে পাক সংস্থাকে তা পাঠিয়ে দেওয়া হত। তার পরে যৌনতার ফাঁদ পেতে এগানো হত। মূল লক্ষ্য ছিল ভারতীয় সেনা বাহিনী ও টেলিকম সংস্থার আধিকারিকেরা। পুলিশের দাবি, পুরুষরাই মহিলা সেজে ‘টার্গেট’দের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। এর পরে কেউ যৌনতা বা টাকার ফাঁদে পা দিলেই তাঁদের কাছ থেকে ধাপে ধাপে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করে তা পাচার করা হত পাকিস্তানের বিভিন্ন সংস্থার কাছে।

রাকেশের প্রতিবেশীরা জানান, আবাসনে রাকেশের কাছে মাঝেমধ্যেই অনেক জন আসতেন ও গভীর রাত অবধি থাকতেন। চিৎকারও হত খুব। প্রতিবেশীরা অসুবিধার কথা জানালেও কেউ গুরুত্ব দিতেন না। তবে পাকিস্তানি যোগের কথা জানতে পারেননি কেউই। এই প্রসঙ্গে আবাসনের মালিক দিলীপ সিকদার বলেন, ‘‘২০২০ সালে মায়ের সঙ্গে দুই ছেলে এসে থাকবে বলে মাসে সাত হাজার টাকা ভাড়ার চুক্তি করেন। এক ভাই একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে চাকরি করে বলে জানিয়েছিলেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বেশিরভাগ সময়ে শুধুমাত্র মা থাকতেন।’’ যদিও প্রতিবেশীদের দাবি অন্য। স্থানীয় বাসিন্দা সেখ হানিফ, এবং বিনোদ সরকারদের দাবি, ‘‘প্রায় প্রতি দিনই ৭-৮ জন লোক আসত এখানে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement