মন্দির দু’টি ঘিরে দেওয়া হয়েছে বেড়া। নিজস্ব চিত্র
একশো দিনের কাজে খোঁড়াখুড়ি করতে গিয়ে দু’টি মন্দির বেরনোর পরে দর্শনার্থীর ঢল নেমেছে গলসি ২ ব্লকের জুজুটি গ্রামে। বসছে মেলাও। দুর্ঘটনা এড়াতে মন্দিরের ভগ্নাংশগুলি বেড়া দিয়ে ঘেরার ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন।
গলসির ভুড়ি পঞ্চায়েতের প্রধান সুবোধ ঘোষ জানান, পার্ক তৈরির জন্য এলাকায় একশো দিনের কাজে খোঁড়াখুঁড়ি চলছিল। সেই সময়েই দু’টি মন্দিরের চুড়ার হদিস মেলে। আর তার জেরেই এখন ভিড় জমছে। জেলার নানা প্রান্ত তো বটেই, আশপাশের নানা জেলা থেকেও লোকজন আসছেন বলে এলাকাবাসীর দাবি।
এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মন্দিরের অংশ দু’টি বেড়া দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। তার আশপাশে যেন মেলা বসে গিয়েছে। পসরা সাজিয়ে বসে পড়েছেন অনেক বিক্রেতা। চা, মিষ্টি থেকে আইসক্রিম, বাদাম, পাঁপড়ভাজা বিক্রি হচ্ছে। এক চা বিক্রেতা জানালেন, আগে সারা দিনে যেখানে তাঁর বিক্রি ছিল ৩০ কাপ, এখন তা দাঁড়িয়েছে দু’শোরও বেশি। গ্রামের ব্যবসায়ীরা বেশ খুশি এই ঘটনায়।
উড়ো চটি থেকে মোরামের রাস্তা ধরে ২১ কিলোমিটার গেলে এই মন্দির। রাস্তার হাল ভাল নয়। সেই রাস্তা ধরেই শ’য়ে শ’য়ে লোক প্রতিদিন যাতায়াত করছেন এখন। ভুড়ির প্রধান ও লাগোয়া সাঁকো পঞ্চায়েতের প্রধান সুবোধ কারকেরা জানান, অনেক দর্শনার্থী বেড়ার উপর দিয়ে প্রণামী হিসেবে মন্দিরের দিকে খুচরো টাকা ছুড়ে দিচ্ছিলেন। সে জন্য এখন একটি প্রণামী বাক্স বসানো হয়েছে। এ সব নজরে রাখার দায়িত্ব পেয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা রণজিৎ বাগদি। ব্রাহ্মণেরা এসে পুজোও করে যাচ্ছেন মন্দির চত্বরে।
বাসিন্দাদের আশা, এই মন্দির ঘিরে রাস্তা সংস্কার-সহ এলাকায় নানা উন্নয়নের কাজ হবে। হাল ফিরবে গ্রামের। পঞ্চায়েতের তরফে জানানো হয়, এখানে অনেকে বনভোজন করতে আসতেন। এখন মন্দিরের জন্যও এলাকা নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। তা কাজে লাগিয়ে একটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা হচ্ছে। ব্লক প্রশাসনের কর্তারা পরিদর্শন করেছেন।