খনির কাজ নিয়ে কোন্দল, মারধর

গোষ্ঠী-সংঘর্ষে অশান্ত হয়ে উঠল আসানসোলের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের পড়িরা গ্রাম। বৃহস্পতিবার তৃণমূলের একটি কার্যালয়ে হামলায় দু’জন আহত হন। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। অভিযোগ দায়ের হলেও কেউ গ্রেফতার হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:২৬
Share:

গোষ্ঠী-সংঘর্ষে অশান্ত হয়ে উঠল আসানসোলের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের পড়িরা গ্রাম। বৃহস্পতিবার তৃণমূলের একটি কার্যালয়ে হামলায় দু’জন আহত হন। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। অভিযোগ দায়ের হলেও কেউ গ্রেফতার হয়নি।

Advertisement

ইসিএলের একটি খনি সম্প্রসারণের কাজ নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে ওই এলাকায় গোলমাল চলছে। পুনর্বাসন ও চাকরির দাবিতে কাজে বাধা দিয়েছেন পড়িরা গ্রামের কিছু বাসিন্দা। তাঁদের সঙ্গে ইসিএল কর্তৃপক্ষ বৈঠক করলেও কোনও ফল হয়নি। স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই খনি সম্প্রসারণের জন্য জমি দিয়েছেন পাশের মাজিয়ারা গ্রামের কিছু লোকজন। তাঁরা জমির দাম ও প্রকল্পে কাজ পেয়েছেন। কিন্তু পড়িরা গ্রামের কিছু লোক বাধা দেওয়ায় কাজ শুরু হয়নি।

স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর নরেন্দ্র মুর্মু অভিযোগ করেন, এ দিন পড়িরা গ্রামে হামলা চালায় মাজিয়ারারই কিছু বাসিন্দা। সকালে তিনি কয়েক জন অনুগামীর সঙ্গে নিজের ঘর লাগোয়া কার্যালয়ে বসে আলোচনা করছিলেন। হঠাৎই মাজিয়ারা গ্রামের জনা কুড়ি-বাইশের একটি দল সেখানে এসে তাঁর অনুগামীদের বেধড়ক মারধর করে। মিনিট পনেরো ধরে তাণ্ডবের পরে দলটি এলাকা ছেড়ে চলে যায়, অভিযোগ নরেন্দ্রবাবুর।

Advertisement

কাউন্সিলর জানান, হামলাকারীরা আগে অন্য দলে ছিলেন। সম্প্রতি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তিনি অবশ্য দাবি করেন, ‘‘খনি খোলা নিয়ে আমাদের সঙ্গে ইসিএলের বিবাদ চলছে। আমরা গ্রামবাসীদের স্বার্থে পুনর্বাসনের দাবি তুলেছি। সেই আন্দোলনে মাজিয়ারার কিছু যুবকও সামিল হতে চাইছে। কিন্তু আমরা ওদের সঙ্গে নিতে চাই না। সেই রাগ থেকেই ওরা চড়াও হয়েছে।’’ যদিও এলাকার একটি সূত্রের দাবি, পড়িরার লোকজনের বাধায় খনি চালু না হলে কাজও মিলবে না, এই আশঙ্কাতেই মাজিয়ারার কয়েক জন হামলা চালায়। অশান্তির খবর পেয়ে এলাকায় যায় আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ।

তৃণমূলের আসানসোল জেলা সভাপতি ভি শিবদাসন বলেন, ‘‘যেখানে খোলামুখ খনি হচ্ছে তা উপযুক্ত জায়গা নয়, আমরা আগেই সে কথা ইসিএল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তবে এই ঝামেলায় আমাদের লোকজনের জড়িয়ে পড়া উচিত হয়নি। পুলিশকে ঝামেলা মেটাতে বলেছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন