জামারে দ্বন্দ্বে পুড়ল কর্মীদের বাড়ি, দফতর

এলাকা দখলকে ঘিরে দুই গোষ্ঠীর গোলমালে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বর্ধমান ১ ব্লকের জামার গ্রাম। দফায় দফায় গোলমালে জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন। তৃণমূলের একটি দলীয় কার্যালয় সহ তিনটি বাড়িতে অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:৫০
Share:

তৃণমূলের পোড়া পার্টি অফিস। —নিজস্ব চিত্র।

এলাকা দখলকে ঘিরে দুই গোষ্ঠীর গোলমালে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বর্ধমান ১ ব্লকের জামার গ্রাম। দফায় দফায় গোলমালে জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন। তৃণমূলের একটি দলীয় কার্যালয় সহ তিনটি বাড়িতে অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’দলের লোকেরাই তৃণমূল কর্মী-সমর্থক বলে এলাকায় পরিচিত।

Advertisement

বর্ধমান থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিস্থিতি সামলাতে বুধবার গভীর রাত থেকেই র‍্যাফ নেমেছে ওই গ্রামে। পুলিশ ও র‌্যাফের টহল চলেছে বৃহস্পতিবারও। দু’পক্ষের ২৫-৩০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে বলেও পুলিশ জানিয়েছে। যদিও বিষয়টি মুখ খুলতে চাননি তৃণমূলের নেতারা। দলের জেলা সভাপতি (গ্রামীণ) স্বপন দেবনাথ শুধু বলেন, ‘‘পুলিশকে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’’

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত থেকেই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গোলমাল শুরু হয়ে যায়। গোলমাল চলাকালীন এক গোষ্ঠীর দলীয় দফতরে কে বা কারা আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। গোলমালের মাত্রা আরও বাড়ে। দু’পক্ষেরই একটি করে বাড়িতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ ওঠে। কয়েকদিন আগেও নাড়িদাস পাড়ায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে আহত হয়েছিলেন বর্ধমান ১ পঞ্চায়েত সমিতির এক কর্মাধ্যক্ষ। ওই ব্লকের যুব সভাপতি মানস ভট্টাচার্যকে পুলিশ শ্লীলতাহানি ও হমকি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতারও করে।

Advertisement

তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, কয়েক দিন আগে বর্ধমানের একটি স্কুলের অনুষ্ঠানে এসেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেখানে বর্ধমান ১ ব্লকের ঘটনা তুলে ধরেন পুলিশের দুই কর্তা। সব শুনে পার্থবাবু তাঁদের বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী তো বলেই দিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য আপনারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।” পরে বর্ধমানে দায়িত্বে থাকা দলের পর্যবেক্ষককে বিষয়টি জানানোর কথাও বলেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement