কংগ্রেসের আইন অমান্যে অশান্তি

কংগ্রেস নেতা তরুণ রায় অভিযোগ করেন, রাজ্য ও কেন্দ্রে স্বৈরাচারী শাসন চলছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির কথা বলার ক্ষমতা নেই। কোনও কর্মসূচি নিলেই শাসকপক্ষ যে কোনও উপায়ে তা বানচাল করে দিচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০১৯ ০২:৩৩
Share:

আসানসোলে জেলাশাসকের দফতরের সামনে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের। সোমবার। ছবি: পাপন চৌধুরী

কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে জনবিরোধী নীতির অভিযোগ তুলে সোমবার আসানসোলে আইন অমান্য কর্মসূচি করল কংগ্রেস। এ দিন সকালে জেলাশাসকের কার্যালয়ে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন কয়েকশো কর্মী-সমর্থক। জেলাশাসকের অফিসের গেটের খানিক আগে গার্ডরেল দিয়ে ব্যারিকেড করে রেখেছিল পুলিশ। কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকেরা সেই গার্ডরেল ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। বাধা দেয় পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে কংগ্রেস কর্মীদের ধস্তাধস্তি বেধে যায়।

Advertisement

কংগ্রেস নেতা তরুণ রায় অভিযোগ করেন, রাজ্য ও কেন্দ্রে স্বৈরাচারী শাসন চলছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির কথা বলার ক্ষমতা নেই। কোনও কর্মসূচি নিলেই শাসকপক্ষ যে কোনও উপায়ে তা বানচাল করে দিচ্ছে। তাঁদের আরও অভিযোগ, রাজ্যে শিল্প হচ্ছে না। বেকারেরা চাকরি পাচ্ছেন না। অথচ, মেলা-উৎসবের শেষ নেই। এ সবের পাশাপাশি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তরুণবাবুরা অভিযোগ করেন, কৃষকেরা ফসলের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। নোট বাতিল এবং জিএসটি-র চাপে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। কিন্তু সে নিয়ে মাথাব্যথা নেই প্রধানমন্ত্রীর।

এ দিন আইন অমান্য কর্মসূচি চলাকালীন এলাকায় ছিলেন পুলিশ কমিশনারেটের এডিসিপি (‌সেন্ট্রাল) সায়ক দাস। তাঁর নেতৃত্বে পুলিশ আইন অমান্যকারীদের আনুষ্ঠানিক ভাবে গ্রেফতার করে। পরে জামিনে ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁদের।

Advertisement

কংগ্রেসের অভিযোগ প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সভাপতি ভি শিবদাসনের প্রতিক্রিয়া, ‘‘ওরা এখন রাজ্যে সাইনবোর্ডে পরিণত হয়েছে। তাই বিতর্কিত কথা বলে হাওয়া গরম করার চেষ্টা করছে।’’

বিজেপি-র জেলা সহ-সভাপতি প্রশান্ত চক্রবর্তীর আবার পাল্টা অভিযোগ, ‘‘দেশের মানুষকে আসলে সর্বস্বান্ত করেছে কংগ্রেস। এখন বিজেপি-র সরকার দেশকে ভরাডুবি থেকে বাঁচাতে শুরু করেছে। তা বুঝেছেন দেশের মানুষ। সেটা কংগ্রেস সহ্য করতে পারছে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন