আয়ুষ্মান কার্ড নিয়ে অশান্তি, নেতাকে মারধরে বারো জনের নামে নালিশ

রবিবার দুপুরে ডাকঘরের পিওন ওই এলাকায় আয়ুষ্মান কার্ড বিলি করতে গেলে গোলমাল বাধে। সঙ্গী সমর শিকদারকে নিয়ে সেখানে পৌঁছন ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি তাপস সাহা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০১৯ ০৩:২৬
Share:

আয়ুষ্মান ভারত কার্ড বিলি নিয়ে গোলমালের জেরে তৃণমূল নেতা-কর্মীকে মারধরে ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হল দুর্গাপুরে। রবিবার শহরের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের নেতাজিনগর কলোনি চাষিপাড়ায় ওই ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে এলাকার কয়েকজন বিজেপি নেতা-কর্মীও রয়েছেন। আহত এক তৃণমূল কর্মী পুলিশে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তবে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।

Advertisement

রবিবার দুপুরে ডাকঘরের পিওন ওই এলাকায় আয়ুষ্মান কার্ড বিলি করতে গেলে গোলমাল বাধে। সঙ্গী সমর শিকদারকে নিয়ে সেখানে পৌঁছন ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি তাপস সাহা। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, কার্ড বিলি করার জন্য তাপসবাবু পিওনকে হেনস্থা করেন এবং হাত থেকে কয়েকটি কার্ড কেড়ে নিয়ে ছিঁড়ে দেন। যদিও তাপসবাবু এই অভিযোগ মানতে চাননি। এর পরেই কয়েকজন লাঠি, বাঁশ নিয়ে তাপসবাবু ও তাঁর সঙ্গীর উপরে চড়াও হন বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। তাপসবাবুর মাথা ফেটে যায়। মাথায় আঘাত পান সমরবাবুও। পুলিশ গিয়ে দু’জনকে উদ্ধার করে সিটি সেন্টারের একটি নার্সিংহোমে পাঠায়। চিকিৎসার সুবিধার জন্য তাপসবাবুকে রবিবার রাতে গাঁধী মোড়ের এক বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী ওই প্রকল্প থেকে রাজ্যের বেরিয়ে আসার কথা ঘোষণা করার পরেও কয়েকজন জোর করে এলাকায় কার্ড দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। সেই খবর পেয়ে তাপসবাবু ও সমরবাবু সেখানে যান। তখন তাঁদের উপরে লাঠি-বাঁশ নিয়ে বিজেপির লোকজন চড়াও হয়। রবিবার সন্ধ্যায় দুর্গাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন সমরবাবু। তাঁদের মধ্যে দশ জন স্থানীয় বাসিন্দা। বাকি দু’জন তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া সগরভাঙার অসীম প্রামাণিক ও মেনগেট এলাকার বিজেপি নেতা ভোলা সাউ। পুলিশ হাঙ্গামা, আটকে মারধর, অস্ত্র নিয়ে হামলা, খুনের চেষ্টা ও চুরির ধারায় মামলা রুজু করেছে।

Advertisement

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ দাবি করেন, ‘‘কেন্দ্র গরিব মানুষের সুবিধার জন্য এই প্রকল্প এনেছে। সুবিধা যাতে মানুষ পান, তা রাজ্য সরকারের দেখার কথা। কিন্তু, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পাচ্ছেন। তাই তাঁর দলের লোকজন বাধা দিচ্ছে।’’ দলের জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই দাবি করেন, ‘‘রাজনৈতিক কারণে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে।’’

তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমাদের কর্মীদের উপরে হামলা হয়েছে। নির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ে‌র হয়েছে। পুলিশ নিশ্চয় ব্যবস্থা নেবে।’’ পুলিশ জানায়, তদন্ত শুরু হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন