হামলা: কুলটির তৃণমূল অফিসে। নিজস্ব চিত্র
সন্ধেবেলা আচমকা যুব তৃণমূলের কার্যালয়ে চড়াও হয়ে কর্মীদের মারধর ও ভাঙচুর চালাল এক দল দুষ্কৃতী। শুক্রবার কুলটিতে সালানপুর লাগোয়া নিমতলা এলাকায় ওই ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছনোর আগেই হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। তৃণমূলের অভিযোগ, এলাকায় বেআইনি কাজকর্মের প্রতিবাদ করায় সিপিএম এবং বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছে। যদিও বিজেপি এবং সিপিএমের পাল্টা দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে।
সম্প্রতি মাস কয়েক আগে নিমতলা এলাকায় যুব তৃণমূলের এই কার্যালয়টি তৈরি হয়। সেখানে নিয়মিত বসেন যুব তৃণমূলের নেতা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়। পুলিশের কাছে তিনি অভিযোগ করেন, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ এক দল দুষ্কৃতী আচমকা তাঁর কার্যালয়ে চালায়। তারা জিনিসপত্র ভাঙচুর শুরু করলে কয়েক জন কর্মী বাধা দিতে যান। তখন তাদের মারধর করা হয়। বিশ্বজিৎবাবু কোনও রকমে পালিয়ে বাঁচেন।
চৌরঙ্গি ফাঁড়ির পুলিশ যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ততক্ষণে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে গিয়েছে। কেন তাঁর কার্যালয়ে দুষ্কৃতীরা চড়াও হল, সে প্রশ্নে বিশ্বজিৎবাবু দাবি করেন, বিজেপি এবং সিপিএমের নেতৃত্বে এই অঞ্চলে বহু অবৈধ কাজ-কারবার হচ্ছে। সে সব বন্ধ করার জন্য পুলিশের কাছে তাঁরা আবেদন করেছে। সেই রাগেই এই হামলা বলে তাঁদের ধারণা। তৃণমূলের কুলটি ব্লক সভাপতি মহেশ্বর মুখোপাধ্যায় যদিও বলেন, ‘‘কোনও রাজনৈতিক বিবাদ নয়, খবর নিয়ে জেনেছি, বন্ধুদের মধ্যে তর্কাতর্কি ও বচসা থেকেই এই ঘটনা ঘটেছে।’’
এই ঘটনায় তাদের দলের নাম জড়ানোর প্রতিবাদে বিজেপির তরফে চৌরঙ্গি ফাঁড়িতে বিক্ষোভ দেখানে হয় শনিবার। দলের ব্লক সহ-সভাপতি সন্তোষ বর্মার অভিযোগ, ‘‘এটা ওদের গোষ্ঠী কোন্দলের ফল। আমাদের দোষ দিয়ে সত্য চাপা দিতে চাইছে তৃণমূল।’’ সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পার্থ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পুলিশ দোষীদের গ্রেফতার করলেই বোঝা যাবে কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা দোষীদের ধরার দাবি জানাচ্ছি।’’ তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মহেশ্বরবাবু অবশ্য বক্তব্য, ‘‘আমাদের কোনও গোষ্ঠী কোন্দল নেই।’’