ফল-সব্জির দাম শুনে ফর্দ ছাঁটাই

দুর্গাপুজোর রেশ পুরোপুরি কাটেনি এখনও। তার মাঝেই কড়া নাড়ছে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। নিয়ম মেনে দেবীর আরাধনার জোগাড়ে বাজারে বেরিয়ে পড়েছেন সবাই। কিন্তু ফল হোক বা সব্জি, দাম শুনে কপালে ভাঁজ মধ্যবিত্ত বাঙালির।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৬ ০০:৫৮
Share:

দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে ফলের পসরা। নিজস্ব চিত্র।

দুর্গাপুজোর রেশ পুরোপুরি কাটেনি এখনও। তার মাঝেই কড়া নাড়ছে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। নিয়ম মেনে দেবীর আরাধনার জোগাড়ে বাজারে বেরিয়ে পড়েছেন সবাই। কিন্তু ফল হোক বা সব্জি, দাম শুনে কপালে ভাঁজ মধ্যবিত্ত বাঙালির। যতটুকু না হলেই নয়, তা কিনে বাড়ি ফিরছেন বেশিরভাগ জন।

Advertisement

শনিবার লক্ষ্মীপুজো। ফল, সব্জি, দশকর্মার জিনিসপত্র— কেনাকাটার তালিকাটা দীর্ঘ। তাই বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বাজারের দিকে পা বাড়িয়েছিলেন অনেকে। তবে দাম শুনে মাথায় হাত পড়েছে তাঁদের। দুর্গাপুরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেল, অগের বছর, এমনকি এ বারের দুর্গাপুজোর থেকেও লক্ষ্মীপুজোয় ফল, সব্জির দাম চড়েছে। স্টেশন সংলগ্ন দুর্গাপুর বাজারে গিয়ে দেখা গেল, আপেল বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৮০-১০০ টাকা, লেবু ও খেজুর ৮০ টাকা, কাজুবাদাম আটশো টাকা প্রতি কেজি হিসেবে। কলার দাম ছুঁয়েছে ডজন প্রতি ৪০ টাকা। অন্যান্য বছর ১০-১২ টাকা প্রতি কেজি হিসেবে পাওয়া যেত লক্ষ্মীপুজোয় ফলের তালিকার ‘মাস্ট’ পানিফল। তা এ বার ৩০ টাকায় পৌঁছেছে। বাতাবি লেবু, আখের গুড়ের দামও এ বছর প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে বলে জানান ক্রেতারা।

বাড়ির পুজোর জন্য চণ্ডীদাস বাজারে নারকেল কিনছিলেন প্রমীলা দত্ত। তিনি জানান, লক্ষ্মীপুজো আর নারকেল নাড়ু আলাদা করে ভাবা যায় না। অথচ ৩০ টাকার নীচে নারকেল মিলছে না। বাধ্য হয়ে অল্পের উপরেই এ বার সারতে হচ্ছে। সিটি সেন্টারের ফল বিক্রেতা সমীর দত্ত জানান, দুর্গাপুজোর আগে থেকেই ফলের দাম বাড়তে শুরু করেছিল। লক্ষ্মীপুজোর আগে তা কমার তেমন কোনও আশা নেই। শুক্রবার বাজার আরও চড়তে পারে বলে জানান বিভিন্ন বাজারের ফল বিক্রেতারা।

Advertisement

একই ছবি সব্জির বাজারেও। লক্ষ্মীপুজোর ভোগের খিচুড়ির সঙ্গে তরকারি চাই-ই চাই। মুলো, বরবটি প্রতি কেজি ৩০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম চড়েছে কুমড়ো, রাঙা আলু, পটল, পেঁপে, শাকেরও। ছোট ফুলকপিও মিলছে না ৫০ টাকার কমে। দুর্গাপুর বাজারের সবজি বিক্রেতা সন্তোষ চক্রবর্ত্তী জানান, লক্ষ্মীপুজোয় বাজার বরাবরই চড়া থাকে। এ বার আবহাওয়ার খামখেয়ালির জন্য চাষের ক্ষতি হয়েছে। জোগান তুলনায় কম থাকায় দাম আরও বেড়েছে।

তবে দাম নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন দৈনন্দিনের বাজার করতে আসা ক্রেতারও। দুর্গাপুজোর সময় থেকে চড়া সব্জির বাজারের জন্য বিপাকে পড়তে হচ্ছে তাঁদের। বেনাচিতি বাজার সব্জি কিনতে আসা বিধান ঘোষ জানান, তাঁর বাড়িতে লক্ষ্মীপুজো হয় না। কিন্তু প্রতিদিনের খাওয়ার জন্য সব্জি কিনতে তো হবে। তাই বাধ্য হয়েই চড়া দামে সব্জি কিনতে হচ্ছে তাঁকেও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন