প্রতীকী ছবি।
রেললাইনে ফাটল দেখে ট্রেন আটকেছেন খেতের কাজে যাওয়া কয়েকজন, দাবি করলেন এলাকাবাসী। মঙ্গলবার ভোরে পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনের বর্ধমান কর্ড শাখার ঝাপানডাঙা স্টেশনের কাছে ঘটনাটি ঘটে। যদিও রেল কর্তৃপক্ষ তা মানতে চাননি।
বাসিন্দাদের দাবি, ভোরে জমিতে কাজে যাওয়ার সময়ে রেললাইনে ফাটল দেখতে পেয়ে ছুটে গিয়ে গ্যাংম্যানকে খবর দেন কয়েকজন। ততক্ষণে ওই লাইনে ছুটে আসছিল হাওড়াগামী লোকাল ট্রেন। খেতমজুরদের মধ্যে এক জন হাতের কাছে থাকা লাল পতাকা তুলে ওড়াতে থাকেন। বাকিরা হাত তুলে চিৎকার করতে থাকেন।ট্রেন থেমে যায়। লাইন ঠিক করার পরে ট্রেন ছাড়ে।
ওই এলাকার বাসিন্দা লক্ষ্মীনারায়ণ হাঁসদা দাবি করেন, “এ দিন ভোর ৫টা নাগাদ কয়েকজন মিলে খেতের কাজে যাচ্ছিলাম। রেললাইন পার হওয়ার সময়ে ডাউন লাইনের ৪৮ সি-ই গেটের সামনে ফাটল দেখতে পাই। সঙ্গে সঙ্গে গ্যাংম্যান বাবলু মুর্মুর কাছে গিয়ে ঘটনার কথা জানাই। ফেরার সময়ে দেখি হাওড়াগামী একটি ট্রেন ওই লাইনে আসছে।’’ তখনই তাঁদের একজন গ্যাংম্যানের কাছ থেকে লাল পতাকা নিয়ে দেখাতে থাকেন বলে তাঁর দাবি। ট্রেন থেমে গেলে খবর দেওয়া হয় ঝাপানডাঙা স্টেশনের ম্যানেজারকে। লাইনের প্রাথমিক ভাবে মেরামতি করা হয়। ওই ট্রেনটি চলে যাওয়ার পরে সন্ধে পর্যন্ত লাইনের পূর্ণাঙ্গ মেরামতি চলে।
বর্ধমানের স্টেশন ম্যানেজার স্বপন অধিকারী যদিও বলেন, “লাইনের মেরামতির কাজ চললেও ট্রেন চলাচলে কোনও সমস্যা হয়নি।” পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রবি মহাপাত্র বলেন, “ওই লাইনে ফাটল দেখা গিয়েছিল। আমাদের গ্যাংম্যান সেটা দেখার পরেই মেরামত করা হয়েছে।” লাইনে ফাটল স্থানীয় বাসিন্দারা দেখেছেন, এমন কথা মানতে চায়নি রেল। তবে লক্ষ্মীনারায়ণবাবুর দাবি, “এর আগেও তিন-তিন বার রেললাইনের উপর ফাটল দেখে রেলকে জানিয়েছি আমরা।”