বারবার আর্জিতেও হয়নি পাঁচিল, নালিশ

সংশ্লিষ্ট চার্চ কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, অন্ডালের শ্রীরামপুরের রামপ্রসাদপুরে থাকা ওই কবরস্থানটিতে পাঁচিল তৈরির জন্য বারবার সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতে আর্জি জানানো হয়েছে। কিন্তু লাভ হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

অন্ডাল শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০১৭ ০৭:০০
Share:

বেহাল: এই কবরস্থানটির পরিকাঠামো নিয়েই ক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র

এখানে জেলার খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী মানুষদের জন্য অন্যতম কবরস্থান রয়েছে। অথচ, সেই কবরস্থানের সীমানা পাঁচিল দীর্ঘ দিন আগে ভেঙে গিয়েছে। সংশ্লিষ্ট চার্চ কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, অন্ডালের শ্রীরামপুরের রামপ্রসাদপুরে থাকা ওই কবরস্থানটিতে পাঁচিল তৈরির জন্য বারবার সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতে আর্জি জানানো হয়েছে। কিন্তু লাভ হয়নি।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বহু কাল আগে অন্ডালে রেল লাইন পাতার সময়ে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী মানুষের বসবাস শুরু হয়। তার পরে অন্ডাল রেল ইয়ার্ড, ওয়ার্কশপ, ডিজেল শেড তৈরির সময়ে তাঁদের সংখ্যা আরও বা়ড়ে। ১৯৩৮ সালে একটি রোমান-ক্যাথলিক চার্চ তৈরি হয়। অদূরে একটি মেথোডিস্ট চার্চ চালু হয়। এটি বর্তমানে সপ্তাহে এখন এক দিন খোলে। সমসমায়িক সময়ে পাঁচ বিঘে জমিতে কবরস্থানটি তৈরি করে দেন রেল কর্তৃপক্ষ।

রোমান-ক্যাথলিক চার্চের ফাদার জাবিয়ের পানডিয়ান জানান, অন্ডাল, রানিগঞ্জ, কাজোড়া, হরিপুর, পাণ্ডবেশ্বরের বসবাসকারী খ্রিস্টান পরিবারগুলির কথা ভেবে এই কবরস্থানটি তৈরি হয়। চার্চ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দশেক আগে থেকে কবরস্থানটি পাঁচিল-ভাঙা অবস্থায় রয়েছে। ফাদার বলেন, ‘‘ফি বছর একটি নির্দিষ্ট দিনে সাফাই চালিয়ে ধর্মীয় কাজকর্ম করা হয়। পঞ্চায়েতকে বারবার পাঁচিল দিয়ে ঘেরার কথা জানিয়েছে। প্রতিশ্রুতি মিলেছে। কিন্তু কাজ হয়নি।’’

Advertisement

এই মুহূর্তে পাঁচিল না থাকায় কবরস্থানটির নিরাপত্তা নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বাসিন্দারা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, কবরস্থানটি পাঁচিল না থাকায় অসুরক্ষিত হয়ে প়ড়েছে। শুধু তাই নয়, সেখানে কোনও অপেক্ষালয়, এমনকী পানীয় জলেরও বন্দোবস্ত নেই বলে জানা গিয়েছে। কবরস্থান লাগোয়া এলাকায় সাইকেল সারাইয়ের দোকান রয়েছে শ্রীরামপুরের বাসিন্দা প্রবীর রায়। তাঁরও দাবি, ‘‘এলাকাটি পাঁচিল দিয়ে ঘেরা হলে আমাদেরও লাভ।’’

স্থানীয় পঞ্চায়েতের প্রধান সুমিত্রা বাউরির অবশ্য দাবি, তিনি সমিতিকে বিষয়টি জানিয়েছেন। অন্ডাল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কালোবরণ মণ্ডল বলেন, “বর্তমানে আমাদের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। বিধায়ক ও সাংসদ তহবিল থেকেও টাকা পাচ্ছি না। আমদের পরিকল্পনা ছিল, তা দিয়েই কাজটি করব।” বিডিও (অন্ডাল) মানস পাণ্ডের অবশ্য দাবি, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন