বৈধ কাগজপত্র না থাকায় বালিবোঝাই ট্রাক্টর আটকেছিলেন বিডিও। তারপরে ওই ট্রাক্টরের মালিক কয়েক জনকে সঙ্গে নিয়ে বিডিও-র বাড়িতে এসে জানতে চাইলেন, ‘কেন ট্রাক্টর আটকানো হয়েছে?’ শুক্রবার সকালে কাঁকসার ঘটনা।
ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার দুপুরে। কুনুর নদ থেকে বালি তুলে নিয়ে যাওয়ার সময়ে জাতীয় সড়কের উপরে দোমড়ার কাছে একটি ট্রাক্টরকে আটকান কাঁকসার বিডিও অরবিন্দ বিশ্বাস। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় ট্রাক্টরটিকে কাঁকসা থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে থানায় গিয়ে জরিমানা দিয়ে ট্রাক্টরটি ছাড়িয়ে আনেন বালির কারবারি উজ্জ্বল পাল।
অভিযোগ, এরপরে শুক্রবার বেলা ১১টা নাগাদ উজ্জ্বলবাবু চারটি মোটরবাইকে করে সাত জনকে সঙ্গে নিয়ে বিডিও-র সরকারি আবাসনে চলে আসেন। সেখানে গিয়ে উজ্জ্বলবাবু বিডিও-কে বলেন, ‘পিছনে আরও গাড়ি ছিল। কিন্তু আপনি শুধু আমাদের গাড়িটাই আটকালেন কেন?’ বিডিও যদিও এই দাবি অস্বীকার করে বলেন ‘বেআইনি বালির গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান চলবে।’ অরবিন্দবাবু এরপর উজ্জ্বলবাবুকে প্রশ্ন করেন, ‘বাড়িতে এত জন মিলে এসেছেন কেন? কোনও গুরুত্বপূর্ণ কথা বলার থাকলে একাই তো আসতে পারবেন।’ এ কথা শুনেই সকলে নিজেদের ‘এলাকার ছেলে’ পরিচয় দিয়ে চলে যান। এই বিষয়টি নিয়ে কাঁকসার পঞ্চায়েত সমিতির এক তৃণমূল সদস্যও বিডিও-কে ফোন করেন বলে প্রশাসনের একটি সূত্রের দাবি। যদিও তৃণমূলের দুর্গাপুর জেলা সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘দলের নাম ভাঙিয়ে বেআইনি কাজ বরদাস্ত করা হবে না।’’
বিডিও গোটা বিষয়টি দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক শঙ্খ সাঁতরা এবং কাঁকসা থানায় জানান। শঙ্খবাবু বলেন, ‘‘বিডিও-র কাছে বিষয়টি শুনেছি। পুলিশকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলেছি।’’