বিক্ষোভ জনতার। নিজস্ব চিত্র।
এক কিশোরের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় সোমবার সকালে অশান্ত হল আসানসোলের ওকে রোড এলাকা। ওই কিশোরকে অপহরণ করেছেন, এই অভিযোগে এক মহিলার বাড়িতে ভাঙচুর চালায় জনতা। তাঁর ছেলেকে আটক করে রাখা হয়। মহিলাকে গ্রেফতারের দাবিতে রাস্তাও অবরোধ করা হয়। পুলিশ গিয়ে আটক যুবককে উদ্ধার করে। নিখোঁজ কিশোরকে উদ্ধারের আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকাল ১০টা নাগাদ ওই এলাকার বছর চোদ্দর কিশোর মহম্মদ তৌসিফ বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে রেশনে জিনিস আনতে গিয়েছিল। তার পরে আর বাড়ি ফেরেনি। তার বাবা মহম্মদ মুস্তাক আসানসোল উত্তর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়রি করেন। সোমবার সকালে ওকে রোডে বিক্ষোভের সময়ে তিনি অভিযোগ করেন, ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে। একই দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশেরও। মহম্মদ ইকবাল নামে এক বাসিন্দার অভিযোগ, ‘‘এলাকায় একটি শিশু পাচার চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এলাকারই এক মহিলা সেই চক্রের পান্ডা।’’ এ দিন প্রথমে ওই মহিলার বাড়িতে চড়াও হয় জনতা। তাঁকে না পেয়ে বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় ও তাঁর ছেলেকে তুলে নিয়ে গিয়ে একটি ঘরে আটকে রাখা হয়।
রাস্তা অবরোধের খবর পেয়ে এসিপি (সেন্ট্রাল) বরুন বৈদ্যর নেতৃত্বে পুলিশের বড় বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। আটক যুবককে উদ্ধারের চেষ্টা করে পুলিশ। কিন্তু বাসিন্দারা দাবি করেন, নিখোঁজকে উদ্ধার ও ওই মহিলাকে গ্রেফতারের ব্যাপারে উপযুক্ত পদক্ষেপ না করা হলে তাঁকে ছাড়া হবেনা। এসিপি (সেন্ট্রাল) বলেন, ‘‘পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। বাসিন্দাদের দাবি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।’’ এর পরেই অবরোধ ওঠে।
এ দিন এলাকায় গিয়ে জানা গিয়েছে, পাঁচ মাস আগে মহম্মদ সাদিক নামে এক অষ্টম শ্রেণির ছাত্র নিখোঁজ হয়। এখনও তার খোঁজ মেলেনি। এ দিন বিক্ষোভে হাজির ছিলেন সাদিকের বাবা মহম্মদ ইসরার। তিনিও দাবি করেন, ওই মহিলাই তাঁর ছেলেকে অপহরণ করেছে। বাসিন্দারা এ দিন পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, ওই মহিলার নেতৃত্বেই শিশু-কিশোরদের অপহরণ করে পাচার করা হচ্ছে।
পুলিশ অবশ্য এই অভিযোগ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি। বিক্ষোভকারীদের হাতে আটকে থাকা যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।