Mallarajdhani Bishnupur

ঢিবি কাটতেই ধ্বংসাবশেষ

বিষ্ণুপুরবাসীর একাংশ মন্দির সংলগ্ন এলাকার উঁচু ঢিবিগুলিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য আগেও বহু বার প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

বিষ্ণুপুর শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২০ ০২:৩৬
Share:

বেরিয়ে পড়েছে পুরনো দিনের নির্মাণের অংশ। নিজস্ব চিত্র

মল্লরাজধানী বিষ্ণুপুরের এখানে ওখানে ছড়িয়ে ছিল উঁচু ঢিবি। সে সবের অনেকগুলিই বসতি গড়ার জন্য কাটা পড়েছে। তেমনই এক ঢিবি কাটার সময়ে বেরিয়ে পড়েছে প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ। শুক্রবার বিষ্ণুপুরের কালাচাঁদ মন্দির থেকে লালগড় যাওয়ার রাস্তার পাশেই দক্ষিণ মগরা এলাকায় ইট বেরিয়ে আসায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। শনিবার সেখানে ভিড় করেন বিভিন্ন এলাকার মানুষজন। ঘটনাস্থলে যান ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের আধিকারিকেরা। তাঁদের দাবি, ধ্বংসাবশেষটি প্রাচীন কোনও নিদর্শন হতে পারে।

Advertisement

মহকুমা শাসক (বিষ্ণুপুর) অনুপকুমার দত্ত বলেন, “প্রাচীন একটি ধ্বংসাবশেষ বেরিয়ে এসেছে বলে শুনেছি। জায়গাটি ব্যক্তি মালিকানাধীন। ওই ধ্বংসাবশেষ পুরনো দিনের ইট ও চুন-সুরকির নির্মিত বলে পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন। আপাতত সেখানে খোঁড়াখুঁড়ি বন্ধ রাখার জন্য ভূমি দফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে আরও ভাল করে পর্যবেক্ষণ করলে ধ্বংসাবশেষ সম্পর্কে নতুন তথ্য মিলতে পারে।”

এ দিন চেষ্টা করেও ওই জমির মালিকের খোঁজ পাওয়া যায়নি। ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক (বিষ্ণুপুর) বিপ্লব দাস বলেন, “প্রাচীন কোনও ধ্বংসাবশেষ বেরিয়েছে বলে খবর পেয়েছি। দীর্ঘদিন ধরেই ওই জায়গায় মাটি কাটা হচ্ছিল। ঢিবি কাটার জন্য অনুমতি চেয়ে দফতরে আবেদন করা হয়েছিল মাসখানেক আগে। তখন ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। লুকিয়ে চুরিয়ে দক্ষিণ মগরার বিভিন্ন জায়গায় মাটি কাটা হয়। সোমবার ওই জমির মালিককে মৌখিক ভাবে ডেকে পাঠানো হচ্ছে। সব কিছু খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।”

Advertisement

বিষ্ণুপুরবাসীর একাংশ মন্দির সংলগ্ন এলাকার উঁচু ঢিবিগুলিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য আগেও বহু বার প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দা নূপুর লোহার বলেন, “ওই ঢিবিগুলি শুধু এই শহরের ঐতিহ্য নয়, পুরাতাত্ত্বিক দিক থেকেও যে কত গুরুত্বপূর্ণ, তা ওই ধ্বংসাবশেষ বেরিয়ে আসার ঘটনায় প্রমাণিত। প্রশাসনের ঢিবি কাটা বন্ধে আরও কড়া হওয়া প্রয়োজন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন