ছাত্রীকে নিয়ে পালানোর ছক, মারধর

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ওই দিন বিকেলে স্কুল ছুটির পর বন্ধু-বান্ধবীদের সঙ্গে বাড়ি ফিরছিল প্রথম শ্রেণির এক ছাত্রী। স্কুল থেকে হাঁটা দূরত্বেই তার বাড়ি। দীর্ঘক্ষণ পরেও মেয়ে বাড়ি আসছে না দেখে পরিজনেরা বন্ধু-বান্ধবীদের বাড়িতে খোঁজ নিতে শুরু করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জামালপুর শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০১৭ ১৩:০০
Share:

প্রতীকী ছবি।

ছ’বছরের এক শিশুকন্যাকে অপহরণ করে পালানোর সময় এক যুবককে হাতেনাতে ধরে ফেলেছিলেন অন্য গ্রামের বাসিন্দারা। অভিযুক্ত যুবককে উত্তমমধ্যম দেওয়ার সময় পুলিশ চলে আসে। ওই মেয়েটিকে উদ্ধারের পাশাপাশি গণপিটুনির হাত থেকে অভিযুক্ত যুবককে বাঁচাতে গিয়েই আক্রান্ত হন পুলিশকর্মীরা। বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার দত্তমানা গ্রামে। নিতাই রাজ নামে অভিযুক্ত যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ওই দিন বিকেলে স্কুল ছুটির পর বন্ধু-বান্ধবীদের সঙ্গে বাড়ি ফিরছিল প্রথম শ্রেণির এক ছাত্রী। স্কুল থেকে হাঁটা দূরত্বেই তার বাড়ি। দীর্ঘক্ষণ পরেও মেয়ে বাড়ি আসছে না দেখে পরিজনেরা বন্ধু-বান্ধবীদের বাড়িতে খোঁজ নিতে শুরু করেন। তারা জানায়, পেয়ারা খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে আর সাইকেলে করে বাড়ি পৌঁছে দেবে বলে ওই মেয়েটিকে নিয়ে গিয়েছে স্থানীয় শ্রীকৃষ্ণপুরের যুবক নিতাই। সহপাঠীরা ভেবেছিল, ‘সাইকেল-কাকু’ ওই মেয়েটির পরিচিত। সে জন্য তারাও বাড়িতে কিছু জানায়নি। এর পরেই মেয়েটির আত্মীয়েরা আশেপাশের বিভিন্ন গ্রামে ফোন করে বিষয়টি জানান। জামালপুর থানায় ঘটনা জানান ছাত্রীটির বাবা।

এর পরেই স্থানীয় বাসিন্দারা খোঁজ করতে শুরু করেন। মেয়েটির হদিস পেতে পুলিশের তিনটি গাড়িও বেরিয়ে পড়ে। জামালপুর থানা থেকে বেশ কয়েক কিলোমিটার দূরে দত্তমানা গ্রামে তখন মেয়েটিকে নিয়ে পালাচ্ছিল নিতাই। ভয় পেয়ে নিতাই চট করে সাইকেল একটু উঁচু জায়গায় রেখে রেখে মেয়েটিকে নিয়ে ঝোপের ভিতরে ঢুকে পড়ে। কিন্তু, ঝোপে নড়ানড়ি দেখে সন্দেহ হয় গ্রামবাসীদের। পুলিশ জানায়, ঝোপ থেকে বার করে নিতাইকে ঘিরে চড়-থাপ্পড় থেকে গাছের ডাল-লাঠি দিয়ে মারধর করছিলেন গ্রামবাসীর একাংশ। ঘটনাস্থল তাঁকে উদ্ধার করে গাড়িতে তোলার সময় ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টাও করে উত্তেজিত জনতা। তখন পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশের সঙ্গে প্রথমে বচসা শুরু হয়ে যায়। তার পরেই পুলিশকে লক্ষ করে গাছের ডাল পড়তে থাকে বলে অভিযোগ। তিন জন পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন। পুলিশের গাড়ির সামনের কাচও ভেঙে গিয়েছে।

Advertisement

পুলিশকে মারধর ও গাড়ি ভাঙচুরের দায়ে দু’জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বর্ধমান সদর) দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, “অভিযুক্তকে বাঁচাতে গিয়ে পুলিশ আক্রান্ত হয়েছে। এ ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন