সন্তান খুনের হুমকি দিয়ে বারবার ধর্ষণ

পুলিশের দাবি, অভিযোগকারিণী জানিয়েছেন, ধর্ষণের ঘটনা কাউকে জানালে তাঁর ছেলেকে খুন করার হুমকি দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ধর্ষণের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানোর, স্বামীকে পাঠানোর হুমকি দিয়ে বারবার ধর্ষণ করা হয় তাঁকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মাধবডিহি শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৮ ০০:২৯
Share:

অভিযোগকারিণী জানিয়েছেন, ধর্ষণের সময়ের ছবি তুলে রেখেছিল অভিযুক্ত যুবক।

সন্তানকে খুনের হুমকি দিয়ে এক মহিলাকে বারবার ধর্ষণ করার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার রাতে রায়নার উচালন গ্রামের বাড়ি থেকে অভিযুক্ত প্রীতম রায়কে গ্রেফতার করে মাধবডিহি থানার পুলিশ। পুলিশের দাবি, অভিযোগকারিণী জানিয়েছেন, ধর্ষণের সময়ের ছবি তুলে রেখেছিল ওই যুবক। পরে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ারও হমকি দিয়ে বারবার ধর্ষণ করা হয় তাঁকে। এ নিয়ে গ্রামে সালিশিও হয়। তারপরেও ওই যুবক বাড়িতে এসে তাঁকে মারধর করেছেন বলে মহিলার অভিযোগ।

Advertisement

সোমবার প্রীতমকে আদালতে তোলা হলে বিচারক জেল-হাজতের নির্দেশ দেন। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের স্টেট ফরেন্সিক মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধানকে ধৃতের মেডিক্যাল পরীক্ষা করানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়। অভিযোগকারিণীও আদালতে গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, বছর দু’য়েক আগে সন্তান প্রসবের সময় বাপের বাড়িতে এসেছিলেন ওই মহিলা। সন্তান প্রসবের পরে মাসখানেক বাড়িতে ছিলেন তিনি। অভিযোগ, তখনই বাড়িতে তাঁকে একা পেয়ে জোর করে ঢুকে মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে প্রীতম। বাধা দিতে গেলে মারধরও করা হয়। শুধু তাই নয়, ধর্ষণের ছবি মোবাইলে তুলে রাখা হয় বলেও ওই মহিলার অভিযোগ। পুলিশের দাবি, অভিযোগকারিণী জানিয়েছেন, ধর্ষণের ঘটনা কাউকে জানালে তাঁর ছেলেকে খুন করার হুমকি দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ধর্ষণের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানোর, স্বামীকে পাঠানোর হুমকি দিয়ে বারবার ধর্ষণ করা হয় তাঁকে।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, গত ৪ নভেম্বর প্রীতম ধর্ষণের ছবি বন্ধুদের দেখান। বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে ওই মহিলাও বাড়িতে সমস্ত ঘটনা জানান। গ্রামে সালিশি সভা বসে। সেখানে ঘটনার কথা স্বীকার করে নেয় অভিযুক্ত। ওই মহিলা আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলেও পরিজনেদের দাবি। অভিযোগ, ওই দিনই প্রীতম বাড়িতে এসে মহিলাকে মারধর করে। শনিবার প্রীতমের নামে মাধবডিহি থানায় অভিযোগ করেন ওই মহিলা।

এ দিন আইনজীবীর মৃত্যুতে কর্মবিরতি থাকায় অভিযুক্তের হয়ে কোনও আইনজীবী সওয়ালে অংশ নেননি। অভিযুক্ত নিজেই জামিন চেয়ে আদালতে সওয়াল করেন। তিনি নিজেকে নির্দোষ ও চক্রান্তের শিকার বলে দাবি করেন। বিচারক অবশ্য জামিন নাকচ করে জেল-হাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

আদালতের বাইরে দাঁড়িয়ে অভিযোগকারিণী বলেন, “দিনের পর দিন হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করেছে প্রীতম। ওর কঠোর শাস্তির জন্য আদালতে হাজির হয়েছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন