নেপথ্যে কি টাকার ভাগ, খুন যুবক

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রাতেই রাজু, তাঁর আত্মীয় এবং আরও কয়েক জন মাঠে বসেই মদ্যপান করেন। অভিযোগ, সেই সময়েই রাজুর মাথা ইট দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয়। এমনকি, মৃত্যু নিশ্চিত করতে রাজুর ফুলহাতা জামার ডান হাতের একাংশ কেটে তাঁর গলায় ফাঁস লাগানো হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বুদবুদ শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৮ ০৬:৩২
Share:

এখান থেকেই মেলে যুবকের দেহ। নিজস্ব চিত্র

এক যুবককে খুনের অভিযোগ উঠল বুদবুদের মানকর এলাকায়। বুধবার সকালে মানকর কলেজের পাশের মাঠ থেকে রাজু হাঁসদা (৩১) নামে বুদবুদের লবণধার গ্রামের ওই যুবকের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, টাকার ভাগ নিয়ে বচসার জেরেই এই খুন। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দু’জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে পুলিশ জানায়। নিহতের স্ত্রী কুলীন হাঁসদা পুলিশের কাছে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন।

Advertisement

পুলিশ জানায়, পরিবারের লোক জনের থেকে জানা গিয়েছে, রাজু ‘ঝাড়ফুঁক’-এর ‘কাজ’ করতেন। নিহতের স্ত্রী কুলীন হাঁসদা জানিয়েছেন, গত ২৮ সেপ্টেম্বর মানকরের কুচিডাঙার বাসিন্দা এক ব্যক্তি রাজুর সঙ্গে দেখা করতে লবণধারে বাড়িতে আসেন। সেখানে ওই ব্যক্তি জানান, রাজুকে তাঁর বাড়ি যেতে হবে। সেই মতো মঙ্গলবার রাজু তাঁরই এক আত্মীয়কে সঙ্গে নিয়ে কুচিডাঙা গ্রামে যান। সেখানে ‘ঝাড়ফুঁক’ও করা হয় বলে দাবি কুলীনদেবীর।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রাতেই রাজু, তাঁর আত্মীয় এবং আরও কয়েক জন মাঠে বসেই মদ্যপান করেন। অভিযোগ, সেই সময়েই রাজুর মাথা ইট দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয়। এমনকি, মৃত্যু নিশ্চিত করতে রাজুর ফুলহাতা জামার ডান হাতের একাংশ কেটে তাঁর গলায় ফাঁস লাগানো হয়।

Advertisement

ঘটনাস্থল থেকেই পুলিশ রাজুর আত্মীয় ও কুচিডাঙায় যাঁর বাড়িতে রাজু গিয়েছিলেন, তাঁদের আটক করে। বুধবার রাত পর্যন্ত পুলিশ জানায়, ওই দু’জনকে জেরা করা হচ্ছে। কুলীনের অভিযোগ, রাজুর আত্মীয়, যাঁর বাড়িতে রাজু গিয়েছিলেন তিনি এবং আরও কয়েক জন এই খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত।

কিন্তু কেন খুন? প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, কুচিডাঙার বাসিন্দা ওই ব্যক্তির বাড়িতে ঝাড়ফুঁকের কাজ করার জন্য প্রায় পাঁচ হাজার টাকা পেয়েছিলেন রাজু। অভিযোগ, তার পরেই রাজু ও তাঁর আত্মীয় বাড়ি থেকে বেরিয়ে চলে যান। এ দিন সকালে রাজুর দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশের দাবি, ঝাড়ফুঁক করে পাওয়া টাকার ভাগ নিয়ে রাজুর সঙ্গে তাঁর ওই আত্মীয়ের বচসা হয়। তার জেরেই খুন হতে পারে বলে অনুমান পুলিশকর্তাদের একাংশের।

আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (পূর্ব) অভিষেক মোদীর বক্তব্য, ‘‘ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। দু’জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’’ প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ আরও জেনেছে, কুলীন রাজুর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী। প্রথম স্ত্রীর বাপের বাড়ি কুচিডাঙা গ্রামেই। বহু বছর আগে অবশ্য দু’জনের বিচ্ছেদ হয়। তবে তার পরেও প্রথম স্ত্রী’র বাড়িতে রাজুর যাতায়াত ছিল। এই সম্পর্কগত কোনও কারণ খুনের নেপথ্যে রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন