মাছ চুরিতে বাধা দেওয়ায় খুন, নালিশ

মাছ চুরিতে বাধা দিতে যাওয়ায় এক যুবককে খুনের অভিযোগ উঠল বুদবুদের লবণধারা গ্রামে। রবিবার রাতে দুষ্কৃতীদের মারে বিমান ঘোষ (২৩) নামে ওই যুবকের মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বুদবুদ শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০১৫ ০১:৫৩
Share:

মাছ চুরিতে বাধা দিতে যাওয়ায় এক যুবককে খুনের অভিযোগ উঠল বুদবুদের লবণধারা গ্রামে। রবিবার রাতে দুষ্কৃতীদের মারে বিমান ঘোষ (২৩) নামে ওই যুবকের মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার পরে এলাকায় পুলিশের টহলদারি বাড়ানো হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশির পাশাপাশি কয়েক জনকে আটক করে জেরা করা হচ্ছে বলে পুলিশ জানায়।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দেবশালা পঞ্চায়েতের ঝিঝিরা গ্রাম থেকে লবণধার যাওয়ার রাস্তার পাশে একটি বড় বাঁধ আছে। সেই বাঁধে বছর চারেক ধরে মাছ চাষ করছেন এলাকার কিছু যুবক। তাঁদের মধ্যে ছিলেন বিমানও। এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, ওই বাঁধে এলাকার যুবকেরা মাছ চাষ শুরু করার পর থেকেই বেশ কিছু লোক বারবার মাছ চুরি করার চেষ্টা করত। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বেশ কয়েক বার বাদানুবাদও হয়েছে। কিন্তু রবিবার রাতে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে ওঠে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রাতে বিমান ও তাঁর কয়েক জন বন্ধু বাঁধের এক পাড়ে পিকনিক করছিলেন। সেই সময়ে বিমান এক বার বাঁধের অন্য পাশে যান। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ভাই বিধান ঘোষ ও সীতারাম আঁকুড়ে নামে এক জন। অভিযোগ, সেই সময়ে ১৫-২০ জনের সশস্ত্র একটি দল তাঁদের আটকে দেয়। তারা বেধড়ক মারধর শুরু করে ওই তিন জনকে। বাকি দু’জন কোনও মতে সেখান থেকে পালিয়ে গেলেও আটকে পড়েন বিমান।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দা বিশ্বরূপ মণ্ডল জানান, বিধানরা গ্রামে ফিরে ঘটনার কথা জানালে বাসিন্দারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। কিন্তু সেখানে তখন আর কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। বাঁধের পাড়ে বিমানের চটি পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁর সঙ্গে থাকা ছাতাটি পুকুরের জলে ভাসতে দেখেন বাসিন্দারা। এর পরে পাশের জঙ্গলে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন তাঁরা। সেখানেই রক্তাক্ত অবস্থায় বিমানকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। বিশ্বরূপবাবুরা অভিযোগ করেন, ঝিঝিরা গ্রামের আদিবাসী পাড়ার বেশ কিছু লোক ও পাশের পরিশা গ্রামের কয়েক জন মিলে বিমানকে খুন করেছে। পুলিশ জানায়, নিহতের শরীরে নানা জায়গায় ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। তাঁকে কুড়ুল, দা জাতীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারা হয়।

ঘটনার পর থেকেই এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। বুদবুদ থানার পুলিশ টহলদারির ব্যবস্থা করে। সোমবার ময়না-তদন্তের পরে দেহ গ্রামে নিয়ে আসা হয়। এ দিন বিকেলেই নিহতের ভাই বিধান ঘোষ পুলিশের কাছে তাঁর দাদাকে খুন করা হয়েছে জানিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন