প্রতীকী ছবি।
লাঠি, রড দিয়ে পিটিয়ে, পাথরে মাথা থেঁতলে প্রকাশ্য খুন করা হল এক যুবককে। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে কুলটির রাচিগ্রামের পাথরখাদ এলাকায়। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম কানাই সাউ (২৪)। খুনের অভিযোগে একই পরিবারের সাত জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে তিন জন মহিলা। এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। পুলিশের দাবি, প্রতিবেশী দুই পরিবারের পুরনো বিবাদের জেরেই এই ঘটনা।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নিকাশির জল যাওয়াকে কেন্দ্র করে বহু দিন ধরে দু’টি পরিবারের মধ্যে বিবাদ চলছিল। বছরখানেক ধরে প্রায় দিনই তাঁদের মধ্যে কলহ বাধে। পুলিশ কমিশনারেটের এডিসিপি (পশ্চিম) অনমিত্র দাস জানান, বুধবার দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদ চরমে ওঠে। অভিযোগ, এক পরিবারের লোকজন হঠাৎই দল বেঁধে অন্য পরিবারের সদস্য কানাইয়ের উপরে চড়াও হয়। তাঁকে লাঠি, রড দিয়ে পেটাতে থাকে। তিনি মাটিতে পড়ে যান। তা দেখে প্রতিবেশী কয়েকজন কানাইকে বাঁচাতে ছুটে যান। কিন্তু তার আগেই পাথর দিয়ে তাঁর মাথা থেঁতলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
এই ঘটনার পরেই স্থানীয় বাসিন্দারা দল বেঁধে অভিযুক্তদের আটক করে রাখেন। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কুলটি থানার পুলিশ। অভিযুক্তদের আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। কিছু লোকজন অভিযুক্তদের বাড়িতেও চড়াও হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এডিসিপি (পশ্চিম) অনমিত্রবাবু বলেন, ‘‘ঘটনাস্থলেই মারা যান ওই ব্যক্তি। সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও তিন জনের খোঁজ চলছে।’’
পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ৯ মাস আগে অভিযুক্তদের পরিবারের তরফে কুলটি থানায় কানাই ও তাঁর বাবা জগদীশ সাউ-সহ পরিবারের পাঁচ জনের বিরুদ্ধে জাতপাত তুলে গালাগালি করার অভিযোগ করা হয়। পুলিশ পাঁচ জনকেই গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায়। তাঁরা তিন মাস জেল-হাজতে ছিলেন। মাস তিনেক আগে তাঁরা জেল থেকে ছাড়া পান। এ দিন কানাইয়ের বাবা জগদীশবাবুর অভিযোগ, ‘‘ওই পরিবারটি বরাবরই আমাদের সঙ্গে কারণে-অকারণে ঝামেলা পাকায়। মিথ্যে অভিযোগে আমাদের জেলেও পাঠিয়েছে। তবে এ ভাবে আমার ছেলেকে খুন করবে, ভাবতে পারিনি!’’ প্রকাশ্যে দিনের আলোয় এ ভাবে খুনের ঘটনায় স্তম্ভিত এলাকার বাসিন্দারা।