অ্যাসিড ছোড়ায় ধৃত ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র

দিনেদুপুরে বর্ধমানের বাড়িতে ঢুকে ছাত্রীর মুখে অ্যাসিড ছোড়ার ঘটনায় জড়িত অভিযোগে এক ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত অয়ন শেখের বাড়ি বর্ধমানেরই জামালপুরে। হায়দরাবাদের এক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র তিনি। পুলিশের দাবি, ধৃতকে জেরা করে তারা জেনেছে, ওই ছাত্রীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল। তবে মাসখানেক আগে তাঁদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০১৪ ০১:৫৮
Share:

ধৃত অয়ন শেখ। ছবি: উদিত সিংহ।

দিনেদুপুরে বর্ধমানের বাড়িতে ঢুকে ছাত্রীর মুখে অ্যাসিড ছোড়ার ঘটনায় জড়িত অভিযোগে এক ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত অয়ন শেখের বাড়ি বর্ধমানেরই জামালপুরে। হায়দরাবাদের এক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র তিনি। পুলিশের দাবি, ধৃতকে জেরা করে তারা জেনেছে, ওই ছাত্রীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল। তবে মাসখানেক আগে তাঁদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। বর্ধমানের পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা জানান, অয়নকে জেরা করে ওই ঘটনায় অন্য আরও কেউ জড়িত কি না, জানার চেষ্টা হচ্ছে। অয়ন দাবি করেছেন, অ্যাসিড-হামলায় তিনি জড়িত নন।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সকালে বর্ধমান শহরের পাড়াপুকুরে কলিং বেল বাজিয়ে ডেকে রাজ কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রীর মুখে অ্যাসিড ছুড়ে পালায় এক জন। ছাত্রীটির মা পুলিশকে জানান, হামলাকারীর মুখ হেলমেটে ঢাকা থাকায় তাকে চিনতে পারেনি মেয়ে। তবে পুলিশের দাবি, তদন্তে নেমে তারা হামলাকারীকে চিহ্নিত করে। বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার হয় অয়ন।

শুক্রবার অ্যাসিড-দগ্ধ ওই ছাত্রীকে দেখতে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান রাজ্য মহিলা কমিশনের সদস্য শিখা আদিত্য। তাঁর দাবি, “হামলাকারী কাচের গ্লাসে করে হলুদ রঙের তরল নিয়ে এসেছিল বলে ওই তরুণী আমাকে জানিয়েছেন। উনি আরও জানিয়েছেন, মার্চ মাসে ফেসবুকের মাধ্যমে ওঁর সঙ্গে অয়নের আলাপ হয়। পরে সে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিল। রাজি না হওয়ায় মেয়েটির পরিবারকে হুমকিও দেওয়া হয়।”

Advertisement

জেলা পুলিশের একটি সূত্র অবশ্য দাবি করেছে, জেরায় অয়ন তাঁদের জানিয়েছেন, ওই কলেজ-ছাত্রীর সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। এক দিন বচসার সময়ে তরুণী তাঁকে মারধর করেন এবং তার পর থেকেই তাঁর সঙ্গে মেয়েটির কোনও যোগাযোগ ছিল না। ওই তরুণীর মা এ দিন অবশ্য বলেছেন, “অয়নকে চিনি। কিন্তু তার সঙ্গে আমার মেয়ের কোনও দূরত্ব তৈরি হয়েছে বা আমার মেয়ে ছেলেটিকে মারধর করেছে বলে জানা নেই।”

জামালপুরে বাড়ি হলেও যোগাযোগের সুবিধার জন্য তিনি বর্ধমান শহরের বড় নীলপুরে একটি মেসেও মাঝেমধ্যে থাকেন বলে জেরায় পুলিশকে জানিয়েছেন অয়ন। তবে বৃহস্পতিবার দিন বর্ধমান শহরেই ছিলেন না বলে দাবি তাঁর। যদিও বৃহস্পতিবার রাতে বর্ধমান শহর থেকেই ওই যুবককে ধরা হয়েছে বলে পুলিশের দাবি। এ দিন বর্ধমান জেলা আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক ধৃতকে পাঁচ দিন পুলিশ-হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

হাসপাতালে ওই তরুণীর সঙ্গে দেখা করতে যান বিজেপি-র জেলা সভাপতি (গ্রামীণ) দেবীপ্রসাদ মল্লিক। বর্ধমান শহরের বিজয়তোরণ এলাকায় প্রতিবাদসভা করে হামলাকারীর সাজা ও শহরে মহিলাদের নিরাপত্তা দাবি তোলে ডিওয়াইএফ এবং এসএফআই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন