অভিযুক্তের খোঁজে গেলে পুলিশকে বোমা, ধৃত তিন

খুনে অভিযুক্তকে ধরতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের ছোড়া বোমা ও গুলির মুখে পড়ল পুলিশ। প্রথমে পালিয়ে গেলেও পরে অবশ্য বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে দু’দিন ধরে তল্লাশি চালিয়ে তিন জনকে গ্রেফতার করে। শনিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলকোটের ন’পাড়া গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম জাহাঙ্গির শেখ, সইফুল্লা শেখ ও আস্পিয়া শেখ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মঙ্গলকোট শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০১৪ ০১:০৩
Share:

খুনে অভিযুক্তকে ধরতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের ছোড়া বোমা ও গুলির মুখে পড়ল পুলিশ। প্রথমে পালিয়ে গেলেও পরে অবশ্য বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে দু’দিন ধরে তল্লাশি চালিয়ে তিন জনকে গ্রেফতার করে। শনিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলকোটের ন’পাড়া গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম জাহাঙ্গির শেখ, সইফুল্লা শেখ ও আস্পিয়া শেখ। ধৃতদের মধ্যে জাহাঙ্গির ও সইফুল্লাকে শনিবার রাতে গ্রেফতার করা হয়। আস্পিয়া শেখকে গ্রেফতার করা হয়েছে রবিবার রাতে। জাহাঙ্গির ও সইফুল্লাকে রবিবার আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। অপর ধৃত আস্পিয়া শেখকে সোমবার কাটোয়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তার ১৪ দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুটি খুনের ঘটনা-সহ একাধিক অপরাধে অভিযুক্ত ন’পাড়া গ্রামের পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা জাহাঙ্গির শেখ শনিবার বাড়িতে রয়েছে বলে জানতে পারে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ। এরপর শনিবার দুপুরে দু’জন সাদা পোশাকের পুলিশ ওই গ্রামে গিয়ে জাহাঙ্গির শেখকে তার বাড়ির সামনে থেকে ধরে। তাকে মঙ্গলকোট থানায় তুলে নিয়ে আসার সময়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়। বোমার মুখে পড়ে অভিযুক্তকে ফেলে রেখে গ্রাম ছাড়ে সাদা পোশাকের দুই পুলিশ।

খবর পেয়ে মঙ্গলকোট থানা থেকে পুলিশের একটি দল ফের ন’পাড়া গ্রামে যায়। সেই সময়েও পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ও গুলি ছোড়া হয়। প্রাথমিক ভাবে তখন আবার পিছু হটে পুলিশ। তবে পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। তল্লাশি চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় জাহাঙ্গির শেখ ও সইফুল্লা শেখকে। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় একটি পাইপগান, একটি পিস্তল, পাঁচ রাউন্ড কার্তুজ ও ২০টি বোমা। রবিবার রাতে ওই গ্রামে আবার তল্লাশি চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় আস্পিয়া শেখ নামে আরও এক দুষ্কৃতীকে।

Advertisement

পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা-গুলি চালানোর ঘটনায় মঙ্গলকোট থানার পুলিশ অফিসার সরোজ চট্টোরাজ স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মঙ্গলকোট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন যে, প্রায় ৩০ জন দুষ্কৃতী তাঁদের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে ও ৪-৫ রাউন্ড গুলি চালায়। বর্ধমান জেলার এক পুলিশ কর্তা বলেন, জাহাঙ্গির শেখ ছাড়া ধৃত বাকি দুই দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে পুলিশের উপর আক্রমণের অভিযোগ আনা হয়েছে।

রবিবার রাতে মঙ্গলকোট থানার চাকদা গ্রামে বোমা ফেটে আহত হয়ে এক যুবক কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আহত ওই যুবকের নাম শেখ টগর। পুলিশের ধারণা, আহত যুবক বোমা বাঁধতে গিয়েই আহত হয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন