আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও ঝাঁঝরা খনিতে উৎপাদন চালু হয়নি সোমবারও। খনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাস্থলে নাইট্রোজেন গ্যাস পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। তবে ডিজিএমএসের ছাড়পত্র পেলেই খনির উৎপাদন চালু করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঝাঁঝড়া কোলিয়ারির জেনারেল ম্যানেজার অবোধকুমার মিশ্র।
ওই কোলিয়ারি সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার গভীর রাতে মাটি থেকে প্রায় সাড়ে ন’শো মিটার গভীরে ঝাঁঝরা এমআইসি’র ১ নম্বর পিটের আর ৭ এ সিমে আগুন লাগে। পুজোর ছুটি চলায় শুধুমাত্র জরুরি বিভাগের কর্মীরাই ছিলেন তখন। রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ একটি হাওয়া চানক দিয়ে আগুন ও ধোঁয়া বেরোতে দেখেন তাঁরা। খবর দেওয়া হয় কর্তৃপক্ষকে। নিরাপত্তার কারণে সংলগ্ন ১ ও ২ ইনক্লাইনও বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে দৈনিক প্রায় আড়াই হাজার টন কয়লা উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। শনিবার সকালে ভেতরের যে অংশে আগুন লেগেছে তা করোগেটের চাদর, সিমেন্ট, বালি ইত্যাদি দিয়ে আলাদা করার কাজ চলে। রবিবার সকাল থেকে আগুন ও ধোঁয়ার তীব্রতা কমতে থাকে। সন্ধ্যার দিকে ধোঁয়া বেরোনো বন্ধ হয়ে যায়। তবে ফের যাতে আগুন না ছড়িয়ে পড়ে সেজন্য নাইট্রোজেন ছড়াতে উদ্যোগী হন খনি কর্তৃপক্ষ। সেই প্রক্রিয়াই চলছে বলে জানিয়েছেন খনির এক আধিকারিক।
এ দিকে আইএনটিটিইউসির তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছে, খনিতে উপযুক্ত নিরাপত্তা বিধি বলবৎ না থাকায় এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে আগেই খনি কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করা হলেও কর্তৃপক্ষ তা কানে তোলেননি বলেও তাঁদের অভিযোগ। খনি কর্তৃপক্ষ অবশ্য তা মানতে চাননি। খনির এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ভূগর্ভে কয়লার কার্বন এবং অক্সিজেনের মিশ্রনে অক্সিডেশন ঘটে। ফলে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। তা মাত্রা ছাড়িয়ে গেলেই আগুন ধরে যায়। তিনি বলেন, “এমন ঘটনা নিয়ন্ত্রন করা যায়। কিন্তু একেবারে বন্ধ করা যায় না।”