কাঁকসায় ভাঙচুর-মারধরে অভিযুক্ত সিপিএম কর্মীরা

সিপিএমের মিছিল থেকে তৃণমূল সমর্থক কয়েক জনের বাড়ি ভাঙচুর ও মারধরের অভিযোগ উঠল কাঁকসার পোড়ালপাড়া এলাকায়। বৃহস্পতিবার রাতের এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ দুই সিপিএম সমর্থককে গ্রেফতার করেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাঁকসা শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০১৪ ০২:২৪
Share:

সিপিএমের মিছিল থেকে তৃণমূল সমর্থক কয়েক জনের বাড়ি ভাঙচুর ও মারধরের অভিযোগ উঠল কাঁকসার পোড়ালপাড়া এলাকায়। বৃহস্পতিবার রাতের এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ দুই সিপিএম সমর্থককে গ্রেফতার করেছে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রাতে সিপিএমের বেশ কিছু সদস্য-সমর্থক কাঁকসা এলাকায় সিপিএম নেতা গৌতম দেবের জনসভা ও ভোটের প্রচারের জন্য পোস্টার লাগাচ্ছিলেন। রাত ৯টা নাগাদ পোড়ালপাড়া এলাকায় পোস্টার লাগাতে গেলে তৃণমূলের কয়েক জন তাঁদের বাধা দেন, এমনকী মারধরও করে বলে সিপিএমের অভিযোগ। সে সময় সিপিএমের সমর্থকেরা সেখান থেকে ফিরে গেলেও পরে নানা এলাকা থেকে লোকজন ঘটনার প্রতিবাদে মিছিল করে কাঁকসা থানায় স্মারকলিপি দিতে যান। ওই সময় পোড়ালপাড়ার কাছে আবার তৃণমূল সমর্থকদের সঙ্গে তাঁদের গোলমাল বাধে। বচসা থেকে হাতাহাতি বেধে যায়। তৃণমূলের অভিযোগ, সেই সময়ে মিছিলে থাকা বেশ কয়েক জন তাঁদের সমর্থকদের উপরে চড়াও হন। বেশ কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এমনকী, বাড়ির মহিলাদের উপরেও হামলা হয় বলে অভিযোগ তৃণমূলের। কাঁকসা ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি পল্লব বন্দ্যোপাধ্যায়, এলাকার জেলা পরিষদ সদস্য তৃণমূলের দেবদাস বক্সীর দাবি, হার অনিবার্য বুঝেই এলাকায় সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করছে সিপিএম।

সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তথা প্রাক্তন কাঁকসা জোনাল সম্পাদক বীরেশ্বর মণ্ডল পাল্টা অভিযোগ করেন, পঞ্চায়েত ভোটে কাঁকসা পঞ্চায়েতের এই পোড়ালপাড়া বুথটি গায়ের জোরে দখল করে তৃণমূল। সেই জায়গা থেকে এ বারও তারা একই কাজ করতে চাইছে। তিনি জানান, পোড়ালপাড়ায় পোস্টার লাগাতে না দেওয়ার প্রতিবাদে তাঁরা নিরাপত্তা চেয়ে কাঁকসা থানায় যাচ্ছিলেন। কিন্তু রাস্তাতেই এই ধরনের ঘটনা ঘটে যায়। বীরেশ্বরবাবু বলেন, “আমরা পুলিশের কাছে অভিযোগ করলেও তৃণমূলের কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। অথচ, আমাদের দু’জন সমর্থককে গ্রেফতার করল পুলিশ।” প্রতিবাদে কাঁকসা থানায় বিক্ষোভ শুরু করেন সিপিএমের লোকজন। আদিবাসী গ্রাম থেকে মানুষজন তীর-ধনুক নিয়ে কাঁকসা থানার সামনে জড়ো হন। প্রায় ঘণ্টা দুয়েক বিক্ষোভ চলে। পরে পুলিশের আশ্বাসে বিক্ষোভ থামে। গোলমালে জড়িত সন্দেহে পুলিশ সোমনাথ তিওয়ারি ও হারাধন কোনার নামে দুই সিপিএম সমর্থককে গ্রেফতার করেছে। সিপিএমের তোলা অভিযোগের ভিত্তিতে বাকিদের খোঁজ চলছে বলে জানায় পুলিশ।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন