লোকসভা ভোটের আগে বর্ধমান শহরে বড় সভা তো দুরের কথা, একটা পথসভাও করতে পারল না কংগ্রেস। শহরের মধ্যে কংগ্রেসের একমাত্র পদযাত্রাটি হয় গত ২৪ এপ্রিল প্রদেশ নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্যের উপস্থিতিতে। এর ফলে ক্ষোভ ছড়িয়েছে কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের মধ্যে। যদিও এই ক্ষোভকে পাত্তাই দিতে চাননি কংগ্রেস প্রার্থী।
জেলা কংগ্রেস (গ্রামীণ) সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বার বর্ধমান শহরে অন্তত সাতটি পথসভা করার জন্য প্রশাসনের আগাম অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রতিটি সভাই অর্থের অভাবে বাতিল করতে হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কংগ্রেস নেতা জানান, বর্ধমান শহরের ওয়ার্ড পিছু প্রচারের জন্য মাত্র ৩ হাজার টাকা করে দিয়েছেন প্রার্থী। সেই টাকা পোস্টার, ব্যানার, ফ্লেক্স লাগাতেই খরচ হয়ে গিয়েছে। ওই নেতার আরও অভিযোগ, অর্থের অভাবে শহর এলাকা ছাড়াও বর্ধমান উত্তর, ভাতার-সহ অনেক এলাকাতেই ভাল প্রচার করা যায়নি। প্রচার যে ঠিকমত হয়নি সেটা স্বীকার করে নিয়ে জেলা কংগ্রেস (গ্রামীণ) সভাপতি আভাস ভট্টাচার্য বলেন, “ঠিক মতো অর্থ না পাওয়ার কারণেই এ বার আমরা ভাল করে প্রচার করতে পারলাম না। সভার অনুমতি নিয়েও একটা সভাও করা গেল না। আমাদের দলে প্রার্থীর উপরেই সভা করা, প্রচার করা, বুথে এজেন্ট বসানোর মত বিষয়গুলি নির্ভর করে। তিনি সদিচ্ছা না দেখালে, কর্মীদের উৎসাহে ঘাটতি থেকে যায়।” জেলা কংগ্রেস নেতা কাশীনাথ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “প্রার্থী সামান্য টাকাই দিয়েছেন। তবু দলের কর্মীরা যথাসাধ্য প্রচার করেছেন। প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের উচিত ছিল বর্ধমানের বুকে বড় মাপের সভা করার ব্যবস্থা করা। দলের কর্মীরা কিছুটা হলেও মুষড়ে পড়েছেন।”
বর্ধমান শহরের বুকে কেন একটা পথসভাও হল না? কর্মীদের হতাশা তো ভোটে প্রভাব ফেলবে? প্রশ্ন শুনে অবশ্য বিষয়টি গুরুত্বই দিতে চাননি বর্ধমান-দুর্গাপুরের কংগ্রেস প্রার্থী প্রদীপ অগস্তি। তিনি বলেন, “বর্ধমানের কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের ভরসায় আমি ভোটে লড়তে নামিনি। আমি ওঁদের পাত্তা দিই না। যা ভাল বুঝেছি করেছি।”