বোমায় জখম কর্মী।—নিজস্ব চিত্র।
সিপিএম কার্যালয়ে ঢুকে বোমা ও গুলি নিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বুধবার দুপুরে ঘটেছে পাণ্ডবেশ্বরের ডিভিসি পাড়ায় এই এই ঘটনায় আহত হয়েছেন ৪ জন সিপিএম কর্মী। অভিযোগ অস্বীকার করে সিপিএমের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলার নালিশ করেছে তৃণমূল। দু’পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এডিসিপি (পূর্ব) সুনীল যাদব বলেন, “দু’পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন সকাল ১১টা নাগাদ স্থানীয় ডিভিসি পাড়ায় অসমে আক্রান্ত আদিবাসীদের সাহায্যে চাঁদা তুলছিল সিপিএম। সেই সময়েই কয়েকজন ব্যবসায়ী চাঁদা দিতে না চাওয়ায় গণ্ডগোল শুরু হয়। চলে বোমা ও গুলি। পাণ্ডবেশ্বরের সিপিএম বিধায়ক গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, “রাস্তায় তৃণমূলের মার খেয়ে আমাদের কর্মীরা ডিভিসি পাড়ার দলীয় কার্যালয়ে আশ্রয় নেয়। সেখানেও বোমা, গুলি নিয়ে হামলা চালায় তৃণমূল।” এই ঘটনায় পাণ্ডবেশ্বর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে সিপিএম।
মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের দাবি, এ দিনের গণ্ডগোলের সঙ্গে তাদের যোগ নেই। তৃণমূলের অভিযোগ, সিপিএম জোর করে দোকানদারদের থেকে চাঁদা তুলছিল। তখন বিশ্বরূপ রুইদাস নামে এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী চাঁদা দিতে না চাওয়ায় তাঁকে মারধর করা হয়। এর পরেই স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সিপিএম সমর্থকদের ঝামেলা হয়।
তৃণমূলের পান্ডবেশ্বর ব্লক সভাপতি তথা বর্ধমান জেলা পরিষদের সদস্য নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর দাবি, “ব্যবসায়ীদের তাড়া খেয়ে পালিয়ে গিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে সিপিএম। ওই ব্যবসায়ী সিপিএম কর্মীদের বিরুদ্ধে থানায় পাল্টা অভিযোগ করেছেন।”