গলসিতে রিগিং করতে পারে বাম, পাল্টা নালিশ তৃণমূলের

২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বর্ধমান জেলার ৯০০টি বুথে তৃণমূল এজেন্ট দিতে পারেনি বলে দাবি করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক মুকুল রায়। রবিবার গলসির সাঁকো ময়দান মাঠে বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সৌমিত্র খাঁয়ের সমর্থনে অনুষ্ঠিত এক সভায় তিনি বলেন, “ভোটে কারা সন্ত্রাস করে তা মানুষ জানেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০১৪ ০০:৫১
Share:

ভাতারে মদন-মিঠুন। —নিজস্ব চিত্র।

২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বর্ধমান জেলার ৯০০টি বুথে তৃণমূল এজেন্ট দিতে পারেনি বলে দাবি করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক মুকুল রায়। রবিবার গলসির সাঁকো ময়দান মাঠে বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সৌমিত্র খাঁয়ের সমর্থনে অনুষ্ঠিত এক সভায় তিনি বলেন, “ভোটে কারা সন্ত্রাস করে তা মানুষ জানেন। কিন্তু মজার কথা হলো, যাঁরা সেদিন আমাদের বুথে-বুথে এজেন্ট বসাতে দেননি, তাঁরাই এখন বলছেন, পশ্চিমবঙ্গে ভোট করার মতো পরিস্থিতি নেই। তাঁরা নির্বাচন কমিশনের কাছে মিথ্য অভিযোগ করছেন, আমরা নাকি সন্ত্রাস করছি। মানুষ বুঝবে, কারা ঠিক।”

Advertisement

আবার গলসি বিধানসভারই ৫৫টি বুথে বামফ্রন্টকে এজেন্ট বসাতে না দেওয়ার ও বাম সমর্থকদের ভোট দিতে না দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় গলসি থানার ওসির মদত রয়েছে বলেও শনিবার বিধানসভার অবজার্ভারের কাছে অভিযোগ করেছে ফরওয়ার্ড ব্লক। অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার রাতেই গলসির ওসি দেবব্রত মুখোপাধ্যায়কে শো-কজ করেছে কমিশন। দেবব্রতবাবু শো-কজের উত্তরও দিয়েছেন। তাতে তিনি বলেন, “ওই ৫৫টি বুথের মাত্র ১১টি আমার থানা এলাকায় পড়ে।” তবে রবিবার সকাল থেকেই গলসির বিভিন্ন গ্রামে রুটমার্চ শুরু করেছে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানেরা।

গলসির ব্লক তৃণমূল নেতা কাঞ্চন কাজির অভিযোগ, “আমরা কিছুই করলাম না। অথচ আমাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ হয়ে গেল। কমিশন যেন নজর রাখে, গলসির বুকে সিপিএম এই সুযোগে যেন রিগিং করতে না পারে। রিগিং তো ওদেরই একচেটিয়া শিল্প।” তবে ফরওয়ার্ড ব্লকের গলসির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা পিনাকী সেনের দাবি, “তৃণমূলের লোকেদের কাছ থেকেই আমরা খবর পেয়েছি। ওরা কৌশলে আমাদের প্রার্থীর প্রচারে বাধা দেওয়ারও চেষ্টা করেছে। ফলে বুথে এজেন্ট না দিতে পারার আমাদের আশঙ্কা অমূলক নয়।”

Advertisement

এ দিন মুকুলবাবু আরও বলেন, “সিপিএম, কংগ্রেসের কথা আর বলে লাভ নেই। ওরা দুর্নীতিতে আকন্ঠ নিমজ্জিত। ফাঁকতালে বিজেপি এখন বাজার ধরার চেষ্টা করছে। ওরা ২৭২টি আসন পাবে বলে ৫০০ কোটি টাকা খরচ করছে। নিজেরাই দলের একজনকে স্বঘোষিত প্রধানমন্ত্রী বলে প্রচার চালাচ্ছে। কিন্তু জেনে রাখুন ওরা ১৭০-র বেশি আসন পাবে না। ওদের ভোট ১০-১২ ভাগে পৌঁছতে পারে। জেনে রাখুন ওরা এই রাজ্যে একটাও আসন পাবে না।”

রবিবার ভাতারের পালার মাঠেও বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে একটি সভা হয়। হাজির ছিলেন দলের রাজ্যসভার সাংসদ মিঠুন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “ভোট কাটাকাটিতে যাবেন না। দিদিকে বেশি করে আসন দিন। তাহলে জানবেন বাংলার সত্যিই ভাল হবে।” পরে ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র সাংবাদিকদের বলেন, “সিপিএম খুব লাফাচ্ছে। মনে হচ্ছে যেন, ওরা ভোটের আগেই কয়েকটা ডিএম, এসপিকে বদলি করাতে পেরে জিতেই গিয়েছে। ১৬ মার্চের পরে কেউ আর ওদের কূলে বাতি দিতে থাকবে না। সেটা বুঝতে পেরেই সিপিএম শেষবারের মতো ভেসে ওঠার চেষ্টা করছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন