মুকুল-মিঠুনের সঙ্গে গৌর মণ্ডল।—নিজস্ব চিত্র।
গলসি বিধানসভার উপ-নির্বাচনের লড়াইকে ‘ইজ্জতের প্রশ্ন’ বলে উল্লেখ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়। পানাগড় মিত্র সঙ্ঘ মাঠে জনসভায় শুক্রবার তিনি বলেন, “আগের বিধানসভায় বাংলা জুড়ে তৃণমূলের ঝড় ছিল। কিন্তু গলসির মানুষ জিতিয়েছিলেন সুনীল মণ্ডলকে। তিনি এখন আমাদের দলে। তাই গলসি এ বার জিততে হবে ভাই। এটা কিন্তু ইজ্জতের প্রশ্ন।”
গত বিধানসভা ভোটে গলসিতে তৃণমূল প্রার্থীকে হারিয়েছিলেন ফরওয়ার্ড ব্লকের সুনীল মণ্ডল। গত ফেব্রুয়ারিতেই তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়ে বিধায়ক পদ ত্যাগ করেন। এ দিন মুকুলবাবুর দাবি, সুনীলবাবু নীতির প্রশ্নে বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়েছেন। সেই আসনে এ বার উপ-নির্বাচন। মুকুলবাবু বলেন, “গলসি বিধানসভার প্রার্থী গৌর মণ্ডল ও বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী মমতাজ সঙ্ঘমিতাকে জয়ী করুন। আমি মিঠুনকে অনুরোধ করেছি। ও তখন ফের আসবে। তখন আর রাজনীতির কচকচানি থাকবে না। আপনারা প্রাণভরে উপভোগ করবেন।”
শ্যামসুন্দরে মিঠুন ও মুকুল রায়।
গৌরবাবু প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে আগে ছিলেন না। পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক তৃণমূল শিক্ষক সমিতির জেলা কমিটির তিনি কার্যকরী সদস্য। তাঁকে প্রার্থী করায় দলের একাংশ খুশি নয় বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। এক সময়ে তিনি নিজেকে সরিয়ে নেবেন কি না, সে প্রশ্নও উঠেছিল। যদিও এমন তথ্য মনগড়া দাবি করেছিলেন তৃণমূলের জেলা (শিল্পাঞ্চল) সভাপতি অপূর্ব মুখোপাধ্যায়। তৃণমূলের কাঁকসা ব্লক যুব সভাপতি পল্লব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আজকের সভার পরে আশা করি গলসি বিধানসভা নিয়ে দলের কোনও কর্মী-সমর্থকের আর কোনও দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকবে না।”
এ দিন পানাগড়ের আগে রায়নার শ্যামসুন্দরেও সভা করেন মকুল রায় ও মিঠুন চক্রবর্তী। সেখানে দুপুরের চড়া রোদে প্রথমে সভার মাঠ ভরেনি। মিঠুন আসছেন, তবু সভাস্থল ফাঁকা কেন, এ প্রশ্ন করতেই তৃণমূলের এক স্থানীয় নেত্রী বলে ওঠেন, “জেলার গ্রামীণ এলাকার অন্য কয়েকটি সভাতেও মিঠুন আসবেন বলে দলের তরফে প্রচার করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি আসেননি। তাই হয়তো এখানে আর মানুষ ভরসা করে এই গরমে বেরোননি।” শেষে হেলিকপ্টার থেকে মিঠুন নামতেই উল্লাস জনতার। মাঠ ভরল নিমেষে। ফিল্মি সংলাপ-সহ নানা মন্তব্যে হাততালির ঝড় তুলে গেলেন মিঠুনও।
বর্ধমানের পানাগড়ে তৃণমূলের জনসভায় সব্যসাচী ইসলামের তোলা ছবি।