এক ইটভাটা মালিকের কাছে চাঁদা চেয়ে না পেয়ে ইট লুঠ ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কয়েক জন গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কাঁকসার মোবারকগঞ্জের ধোবাঘাটায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, অভিযুক্তেরা এলাকায় তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত। যদিও তৃণমূল এই ঘটনায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই ইটভাটার মালিক মোট ১২ জনের বিরুদ্ধে চুরি ও হুমকির অভিযোগ করেছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুরের বিধাননগর সেক্টর ২বি এলাকার এলিসন রোডের বাসিন্দা সুনীলকুমার মণ্ডল প্রায় দুই দশক আগে ওই ইটভাটাটি খুলেছিলেন। বছর দু’য়েক ধরে ওই ইটভাটাটি বন্ধ রয়েছে। তবে ইটভাটার ভিতর কয়েক হাজার ইট মজুত ছিল। বর্তমানে ইটভাটাটি পাহারার জন্য জনা কয়েক কর্মী রয়েছেন। পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে সুনীলবাবু জানিয়েছেন, গত ৩০ এপ্রিল ধোবাঘাটা গ্রামে হরিনাম সংকীর্তন অনুষ্ঠানের কথা বলে কয়েক জন গ্রামবাসী তাঁকে একটি ক্লাবের নামে ছাপানো ১৫ হাজার ১ টাকার চাঁদার বিল দেন। সুনীলবাবু এক হাজার টাকা দিতে রাজি হন। কিন্তু যারা চাঁদা নিতে এসেছিলেন তাঁরা সেই টাকা নিতে রাজি হননি।
বৃহস্পতিবার সুনীলবাবু বলেন, “ইট ভাটা চালাতে গিয়ে আগে ছোট-খাটো চাঁদার উৎপাতের মুখোমুখি হয়েছি। কিন্তু এত বড় ঘটনা অতীতে কোনও দিন ঘটেনি।” তাঁর দাবি, অভিযুক্তরা কোন দলের সেটা বলতে পারব না। তবে কাঁকসার এক তৃণমূল নেতা মামলা তুলে নিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন।” ওই ইটভাটা মালিকের অভিযোগ, গত ১০ মে ১২ জন গ্রামবাসী দুটি ট্রাক্টর নিয়ে এসে ইটভাটায় ঢুকে জোর করে প্রায় তিন হাজার ইট নিয়ে পালিয়ে যায়। এরপরে থানায় অভিযোগ করলে ফল ভাল হবে না বলে হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। ২৪ মে থানায় আরও একটি অভিযোগ দায়ের করে সুনীলবাবু জানান, প্রথম বার থানায় অভিযোগ দায়ের করার পরে অভিযুক্তরা কয়েক জনের সঙ্গে আলোচনায় বসে সমস্যা মিটিয়ে নিতে বলে। মোবাইলে ফোন করে কেস তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়াও হয়।
যদিও এই ঘটনায় জড়িত থাকার সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। কাঁকসার পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য পল্লব বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, “যা হয়েছে সেটা একেবারেই গ্রামবাসী ও ইটভাটা মালিকের মধ্যে। এই ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই।” জেলা পরিষদের সদস্য তথা তৃণমূল নেতা দেবদাস বক্সী জানান, অভিযোগ হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে। আইন আইনের পথে চলবে।