জাতীয় সড়ক দেখভালে যোগ দিলেন কর্মীরা

অবশেষে কর্মবিরতি তুলে নিলেন জাতীয় সড়ক রক্ষণাবেক্ষনকারী সংস্থার স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মীরা। সোমবার ২ নম্বর জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে ঠিকাদার সংস্থা ও কর্মীদের ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয়। সেখানেই কর্মীদের বোনাস দিতে রাজি হন কর্তৃপক্ষ। গত সপ্তাহে বোনাসের দাবিতেই পানাগড় থেকে ডানকুনি পর্যন্ত ১৩০ কিলোমিটার জাতীয় সড়ক সারানোর কাজে কর্মবিরতি শুরু করেন ৯৩ জন স্থায়ী কর্মী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০২:৩২
Share:

অবশেষে কর্মবিরতি তুলে নিলেন জাতীয় সড়ক রক্ষণাবেক্ষনকারী সংস্থার স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মীরা। সোমবার ২ নম্বর জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে ঠিকাদার সংস্থা ও কর্মীদের ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয়। সেখানেই কর্মীদের বোনাস দিতে রাজি হন কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

গত সপ্তাহে বোনাসের দাবিতেই পানাগড় থেকে ডানকুনি পর্যন্ত ১৩০ কিলোমিটার জাতীয় সড়ক সারানোর কাজে কর্মবিরতি শুরু করেন ৯৩ জন স্থায়ী কর্মী। তাঁদের সমর্থন করে বিক্ষোভে সামিল হন ৪০০ অস্থায়ী কর্মীও। ওই কর্মীরা মূলত জাতীয় সড়ক দেখভালের কাজ করতেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এ কাজে লাভ না হওয়ার কারণ দেখিয়ে বোনাস দিতে গররাজি ছিলেন। পরে সোমবার বৈঠকে ওই কর্মীদের এককালীন কিছু টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেয় সংস্থা। তবে শর্ত ছিল, পরের দু’বছর কোনও বোনাস বা অনুদান দাবি করা যাবে না। কর্মীদের সেই মর্মে লিখিত দেওয়ারও কথা বলেন তাঁরা। কিন্তু কর্মীরা রাজি ছিলেন না। তাঁরা বর্ধমানের পূর্ত ভবনে সহ-শ্রম কমিশনারের দফতরে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠক ছেড়ে চলে আসেন। তবে ২ নম্বর জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, পরে কর্মীরা নিজেরাই দ্বিধাবিভক্ত হয়ে যান। তাঁদের বড় অংশই কাজে যোগ দিতে রাজি হয়ে যান। আইএনটিটিইউসি-র এক নেতা জয়ন্ত ঘোষ বলেন, “৯৩ জন স্থায়ী শ্রমিক ৩৫০০ টাকার বোনাস ও ১০৫০ টাকার অনুদান পান। তাঁরা এ বার ৫০০ টাকা অতিরিক্ত অনুদান দাবি করেছিলেন। কর্তৃপক্ষ সেটাকে ২৫০ টাকা করতে চান। আর অস্থায়ী কর্মীরা গত বার ২৬০০ টাকা অনুদান পেয়েছিলেন। তাঁরাও ৫০০ টাকা করে অনুদান চাইছিলেন।” শেষে সিদ্ধান্ত হয়, স্থায়ী কর্মীরা বোনাস ও অনুদান মিলেয়ে ৪৮০০ টাকা করে পাবেন। আর অস্থায়ী কর্মীদের বোনাস ওই ঠিকাদার সংস্থা ঠিক করবে।

এর সঙ্গেই যে ক’দিন কর্মবিরতি চলেছে সে দিনগুলির মজুরিও দাবি করেছিলেন কর্মীরা। তবে কর্তৃপক্ষ তা দিতে রাজি হননি। পরে অবশ্য বর্ধমানের পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জার অনুরোধে জামালপুরের বিধায়ক উজ্জ্বল প্রামাণিক ওই কর্মীদের মাথা পিছু ৫০০ টাকা করে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন