জেলার এক কলেজে একটানা অব্যবস্থা চলছে, অথচ প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে নাএই অভিযোগ পাওয়ার পর বর্ধমানের জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন ওই কলেজের শিক্ষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করলেন সোমবার। ওই শিক্ষকদের দাবি, দীর্ঘ দিন ধরেই তাঁদের উপর জুলুম করছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে জানালে তিনি তাঁদের জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করতে বলেন।
আন্দোলনরত শিক্ষকদের পক্ষে এ দিন সুদীপ মজুমদারের দাবি, “জেলাশাসকের কাছে আমরা আমাদের সমস্যার কথা জানিয়েছি। তিনি জানিয়েছে আমরা আলাদা করে শিক্ষা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুললে ব্যাঙ্ক ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে তিনি সাহায্য করবেন। তবে কলেজের সমস্যা সমাধানের জন্য তিনি এ দিন কোনও আশা দেননি।” যদিও জেলাশাসক এ দিন জানান, বিষয়টি তিনি শ্রম দফতরকে খতিয়ে দেখতে বলেছেন।
দীর্ঘদিন ধরে ওই বেসরকারি কলেজে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, প্রয়োজনে ছুটি না দেওয়া, ছুটির দিনে ক্লাস করানো, নোটিস ছাড়াই চাকরি ছাড়তে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। মাস কয়েক আগে দুর্গাপুরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে শিক্ষকদের ছাত্র জোগাড় করে আনতে বলা হয় বলেও দাবি। সেই ঘটনার প্রতিবাদ করলে একশোরও বেশি শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়। সবাইকে বিনা শর্তে ফেরানোর দাবিতে শিক্ষকেরা আন্দোলন শুরু করেন। পরে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর কয়েকজন কাজে যোগ দেন। কিন্তু বাকিরা আন্দোলন চালিয়ে যান। তাঁরা এর আগে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করেছিলেন।
বিধানসভাতেও এই কলেজের সমস্যার বিষয়টি উঠেছে। বিধানসভায় শিক্ষা বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান তথা কাটোয়ার কংগ্রেস বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় জানান, গত ২০ নভেম্বর ওই কলেজের বহিষ্কৃত শিক্ষকেরা তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। তিনি বিধানসভায় প্রসঙ্গটি তুলেছিলেন। তিনি বলেন, “প্রশাসন সমস্যার না মেটালে আমি ওই শিক্ষকদের নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করব।”