মৌসম, অর্কপ্রভ, সায়ন ও অশ্রুজিৎ।
দশের মধ্যে পাঁচ।
জয়েন্ট এন্ট্রাসের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষায় মেধাতালিকায় এমনই সাফল্য দুর্গাপুরের। এই শহরেরই পাঁচ জন রয়েছেন প্রথম দশে। শুধু পাঁচ জনের মেধাতালিকায় স্থান পাওয়া নয়, প্রথম স্থানাধিকারী জ্ঞানেশ গুপ্তও এই শহরের বাসিন্দা। এ ছাড়া তৃতীয় হয়েছেন মৌসম রায়, ষষ্ঠ অর্কপ্রভ সাহা, অষ্টম সায়ন ঘোষ ও দশম অশ্রুজিৎ ঘোষাল। মৌসম হেমশিলা মডেল স্কুলের ছাত্র। বাকি চার জনই ডিএভি মডেল স্কুলে পড়াশোনা করেছে।
বাবা, মা ও ভাইয়ের সঙ্গে জ্ঞানেশ থাকে ইস্পাতনগরীর এ-জোনের সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে। দশম শ্রেণি পর্যন্ত সেন্ট জেভিয়ার্সে পড়াশোনার পরে একাদশে ভর্তি হয় ডিএভি মডেল স্কুলে। বাবা বিকাশবাবু মিশ্র ইস্পাত কারখানার আধিকারিক। ইউরোপিয়ান ফুটবলের ভক্ত জ্ঞানেশ টেবিল টেনিস খেলতে ও সাঁতার কাটতে ভালবাসে।
এ ছাড়া পছন্দের চেতন ভগতের উপন্যাস। আইআইটি থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার ইচ্ছে রয়েছে। তা না হলে জ্ঞানেশ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করবে বলে জানান তার বাবা বিকাশবাবু। সেপকো এলাকার বাসিন্দা মৌসম ছোট থেকেই হেমশিলা মডেল স্কুলের পড়ুয়া। দিদি রুমেলি ডাক্তারি পড়ছে। বাবা মনিময়বাবু কেন্দ্রীয় সংস্থা ‘ইঞ্জিনিয়ারিং প্রজেক্টস অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড’-এর কর্মী। শার্লক হোমস পড়া ছাড়া অবসর কাটাতে মৌসমের পছন্দ ফুটবল, ক্রিকেট দেখা।
জ্ঞানেশ।
অর্কপ্রভর বাবা অলোক সাহাও মিশ্র ইস্পাত কারখানার কর্মী। ইস্পাতনগরীর বিবেকানন্দ রোডের বাসিন্দা অর্কপ্রভ গান গাইতে ও শুনতে ভালোবাসে। প্রিয় শিল্পী অরিজিৎ সিংহ। ইস্পাতনগরীর সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে থাকেন সায়নও। তার বাবা প্রদীপবাবু চিকিৎসক। সায়ন বলে, “আইআইটি থেকে পড়াশোনা করা আমার স্বপ্ন। দেখা যাক, কী হয়।” ডিভিসি-র কর্মী অশোক ঘোষালের ছেলে অশ্রুজিৎ দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছে সেন্ট জেভিয়ার্সে। একাদশে ভর্তি হয় ডিএভি মডেল স্কুলে। ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা ছাড়াও গবেষণা করা লক্ষ্য অশ্রুজিতের। ফুটবল, ক্রিকেট নিয়ে রীতিমতো খোঁজখবর রাখলেও সে নিজে ভালবাসে ব্যাডমিন্টন খেলতে।
এক সঙ্গে চার ছাত্র প্রথম দশে স্থান পাওয়ায় খুশির হাওয়া ডিএভি মডেল স্কুলে। অধ্যক্ষা পাপিয়া মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমরা গর্বিত।” মৌসমের হেমশিলা মডেল স্কুলের অধ্যক্ষ সৌমেন চক্রবর্তীও বলেন, “এই ফলে আমরা আনন্দিত।”
—নিজস্ব চিত্র।