নির্দিষ্ট দিনের একদিন আগে টেন্ডার খোলা নিয়ে বিতর্ক দেখা দিল গুসকরা পুরসভায়। উপ-পুরপ্রধান-সহ কয়েকজন কাউন্সিলরের অভিযোগ, চিঠিতে পরের দিনের তারিখ থাকায় ওই বৈঠকে হাজির হতে পারেননি তাঁরা। টেন্ডার কমিটির আহ্বায়কের কাছে বিষয়টি নিয়ে কৈফিয়তও দাবি করেছেন ওই কাউন্সিলরেরা।
গুসকরা পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরসভার ওয়েবসাইট সংক্রান্ত একটি টেন্ডার খোলার কথা ছিল ১৫ অক্টোবর। সেই মর্মে সমস্ত কাউন্সিলরকে চিঠি পঠিয়েছিলেন পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসার বিশ্বনাথ পাল। কিন্তু তার আগের দিন অর্থাৎ ১৪ অক্টোবরই ওই টেন্ডার খুলে ফেলা হয়। ফলে বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর-সহ উপ-পুরপ্রধান রাখি মাঝিও ওই বৈঠকে হাজির হতে পারেন নি। ক্ষুব্ধ কাউন্সিলরেরা এই কাজকে বেআইনি দাবি করে অবিলম্বে ওই টেন্ডার নতুন করে ডাকারও দাবি তুলেছেন।
১৫ অক্টোবর একটি চিঠি দিয়ে উপ-পুরপ্রধান রাখি মাজি ওই ঘটনার কৈফিয়ত তলব করেছেন টেন্ডার কমিটির আহ্বায়কের কাছ থেকে। চিঠিতে তিনি বলেছেন, “ওই কাজ কি করে ঘটলো তা অবিলম্বে আমাকে জানান।” গুসকরা পুরসভার প্রবীণ কাউন্সিলর নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়েরও অভিযোগ, “আমাকে পুরসভা থেকে যে চিঠি দেওয়া হয়েছিল, তাতেও ওই টেন্ডার সংক্রান্ত সভা ১৫ তারিখে হওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু আমি পুরসভায় ওই দিন গিয়ে জানতে পারি আগের দিনই টেন্ডার খোলা হয়ে গিয়েছে। কে পাবে তাও ঠিক হয়ে গিয়েছে। আমাদের পুর কাউন্সিলরদের অন্ধকারে রেখে এ কাজ কি করে করা হল, আমি তার কৈফিয়ত চেয়েছি।”
গুসকরা পুরসভার চেয়ারম্যান বুর্ধেন্দু রায় অবশ্য বলেন, “ওই দিন অর্থাৎ ১৪ তারিখই ওই টেন্ডার খোলার কথা ছিল। কিন্তু আমাদের পুরসভার এসএই যে চিঠি কাউন্সিলরদের কাছে পাঠান, তাতে ভুল করে ১৫ তারিখের কথা লেখা হয়। ওই ভুলের কথা আমরা ১৫ তারিখেই জানতে পারি। এগজিরিউটিভ অফিসারই নিজেই তা মহকুমাশাসককে টেলিফোনে জানিয়েছেন। ঠিক হয়েছে ওই টেন্ডারটি নতুন করে ডাকা হবে।”