ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই বাড়ছে মিটিং, মিছিল, পথসভা। বিভিন্ন রাজনৈতির দলের প্রার্থীরাও ভোটারদের মন পেতে পথে-ঘাটে সরব হচ্ছেন স্থানীয় নানা দাবি-দাওয়া নিয়ে। দেদারে বিলোচ্ছেন ‘ভোট-প্রতিশ্রুতি’।
বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রে ভাঙন, ডবল লাইনের মতো বড় সমস্যা তো বটেই, সঙ্গে ভাগীরথীর পাড়ের সৌন্দর্য্যায়ন, পেঁয়াজ সংরক্ষণ কেন্দ্র, সব্জি হিমঘর তৈরির আশ্বাস দিচ্ছেন অনেকেই। ওই কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী ঈশ্বরচন্দ্র দাস সম্প্রতি ভাগীরথীতে নৌকা নিয়ে প্রচারে যান। তিনি বলেন, “সাধারণ মানুষের বেশ কিছু প্রয়োজন সামনে এসেছে। ভাঙন সমস্যা রোধের সঙ্গে সে সবেও জোর দেওয়া হবে।” তৃণমূল প্রার্থী সুনীল মণ্ডল আবার এলাকায় নষ্ট হতে বসা পুরা নিদর্শনগুলি সংরক্ষণে জোর দিচ্ছেন। তাঁর দাবি, কালনা-কাটোয়ার বহু নিদর্শনই সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। জিতলে কেন্দ্র থেকে টাকা আনিয়ে সেগুলি সংস্কার করা হবে। তিনি বলেন, “জিতলে আমার প্রথম কাজ হবে গ্রামে গ্রামে গিয়ে সাধারণ মানুষের কথা শুনে তালিকা তৈরি করে একে একে তা মেটানো।”
স্থানীয় বিষয় নিয়ে সবর বিজেপিও। ওই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সন্তোষ রায় প্রতিশ্রুতি লিখে লিফলেটও ছাপিয়ে ফেলেছেন। তাতে জোর দেওয়া হয়েছে, গ্রামের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা পাকা করা, সমস্ত গ্রামে বিদ্যুত্ পৌঁছনো, সমস্ত জমিকে সেচের আওতায় আনা ইত্যাদি। এছাড়া তাঁত শিল্পের উন্নতি, উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসন, হকার সমস্যার উপরেও জোর দিয়েছেন তিনি। লিফলেটে সন্তোষবাবুর দাবি, যতদিন না স্থানীয় মানুষের সমস্যা দূর হবে, ততদিন নিজের বাড়ি করবেন না। খাসজমির উপরে দোচালা ঘরেই থাকবেন। কংগ্রেসের চন্দনা মাঝিও তাঁত শ্রমিক, বিড়ি শ্রমিকদের নানা সমস্যা নিয়ে রাজের উদাসীনতার অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর দাবি, বিড়ি শ্রমিকদের স্বাস্থ্য নিয়ে আরও পদক্ষেপ করা উচিত। এ ছাড়া কাটোয়া তাপ বিদ্যুত্ কেন্দ্র-সহ নানা বিষয়েও জোর দিয়েছেন তিনি।
ভোট মিটলে, কোন প্রতিশ্রুতি পূরণ হবে, সে দিকেই নজর মানুষের।