ভাঙা পড়ে জেটির পাটাতন। কালনায় তোলা নিজস্ব চিত্র।
ঝুঁকির আশঙ্কা নিয়েই রোজকার পারাপার চলছে কালনার ফেরিঘাটে। ঘাটের দায়িত্বে থাকা ঘাট মালিকদের আশঙ্কা, যে কোনও সময় বড়সড় দুঘর্টনা ঘটে যেতে পারে। ক্ষুব্ধ নিত্যযাত্রীরা। তাদেঁর অভিযোগ, ভাসমান জেটিটি পুরসভার দেখভালের অভাবে বেহাল হয়ে পড়ছে দিন দিন। ব্যস্ত এই জেটির ফুটব্রিজের ভগ্নদশায় ক্ষুব্ধ তারা।
কালনা-বধর্মানের মাঝে ভাগীরথী নদীর ওপর এই জেটির খেয়া ঘাটে যাত্রী পরিষেবা শুরু হয় আট বছর আগে। দিনভর বধর্মান ও নদীয়ার হাজার দশেক মানুষের স্কুল, কলেজ, ব্যবসা ও চিকিৎসার প্রয়োজনে যাতায়ত ভাসমান এই জেটির কুড়ি ফুটের ফুটব্রিজ দিয়ে। মরচে পড়ে ব্রিজের লোহার চাদরে দেখা দিয়েছে ফাটল। ফাটল ঢাকতে লাগানো হয়েছে বাঁশের ছিটে বেড়া। ক্ষুব্ধ নিত্যযাত্রীদের একজন, কবিতা ঘোষের দাবি, সামনেই বর্ষা আসছে। পুরসভার অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। নিত্যযাত্রী পরিমল হাজরা বলেন, হাঁটতেই বুক দুরু দুরু করে। পুরসভা মেরামতির উদ্যোগ না নিলে যে কোনও সময় ভেঙে পড়বে ফুটব্রিজ।
ফুটব্রিজের বেহাল দশায় উদ্বিগ্ন ঘাটের ইজারাদাররাও। তাদের তরফে মান্তা ঘোষের অভিযোগ, যে কোনও সময় বিপদ ঘটে যেতে পারে ফুটব্রিজে। বারবার পুরসভাকে জানিয়েও কোনও ফল হয়নি।
পুরসভা বতর্মানে জেটিটি ত্রিশ লক্ষ ৬ হাজার টাকার বিনিময়ে একটি সংস্থাকে লিজ দিয়েছে। ইজারাদারদের অভিযোগ, লিজের অর্থ পেলেও, পুরসভা দেখভালের দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়াতেই জেটির এই ভগ্নদশা। দীর্ঘ দিনের অবহেলায় জেটিটির ভারসাম্য নষ্ট হয়ে পড়েছে। কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ কুণ্ডুু বলেন, খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।