দশ দিন পরে উঠল ধর্মঘট

কলেজ পরিচালন কমিটির সম্পাদকের আশ্বাস পেয়ে অবশেষে ধর্মঘট তুলে নিল বর্ধমান ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল অ্যান্ড লাইফ সায়েন্সেস স্টুডেন্ট গ্রুপ। প্রায় দশ দিন ধরে ওই ধর্মঘট চলছিল। ওই ছাত্র দলের সভাপতি ঋতম বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “আচমকা সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার জানিয়ে দেন, আমাদের কলেজটি আর তাঁদের অধীনে নেই। ভবনটিও ছেড়ে দেওয়ার কছা জানানো হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৪ ০০:২২
Share:

কলেজ পরিচালন কমিটির সম্পাদকের আশ্বাস পেয়ে অবশেষে ধর্মঘট তুলে নিল বর্ধমান ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল অ্যান্ড লাইফ সায়েন্সেস স্টুডেন্ট গ্রুপ। প্রায় দশ দিন ধরে ওই ধর্মঘট চলছিল।

Advertisement

ওই ছাত্র দলের সভাপতি ঋতম বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “আচমকা সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার জানিয়ে দেন, আমাদের কলেজটি আর তাঁদের অধীনে নেই। ভবনটিও ছেড়ে দেওয়ার কছা জানানো হয়। বিষয়টি জানতে পেরে উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের সঙ্গে দেখা করে আমরা কলেজে ইতিমধ্যে ভর্তি হওয়া ছাত্রছাত্রীদের কথা ভেবে কলেজটিকে ওই ভবনে থাকার অনুমতি দেওয়ার আবেদন করি। কিন্তু দুই আধিকারিকের কেউই তখন আমাদের সঙ্গে দেখা করতে রাজি হননি। এরপরেই আমরা ক্লাস বয়কট করে আন্দোলন শুরু করি। এ দিন কলেজ পরিচালন সমিতির সম্পাদক অচিন্ত্য মণ্ডলের নির্দেশে অধ্যক্ষ আমাদের জানিয়েছেন, কলেজ সংক্রান্ত সমস্যা তিনি সামলাবেন। আমরা যেন ক্লাস শুরু করি। তাই মঙ্গলবার থেকে আমরা ফের কলেজে ক্লাস করা শুরু করেছি।” অচিন্ত্যবাবু বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে টানাপোড়েনে আমাদের ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ার ক্ষতি হচ্ছিল। তাঁরা ক্লাস করছিল না। তাই আমি তাঁদের জানিয়ে দিয়েছি, কলেজ কোথায় কোন ভবনে হবে না হবে, তা স্থির করার দায়িত্ব আমাদের। এ জন্য তাঁদের ক্লাস না করে নিজেদের ক্ষতি করার প্রয়োজন নেই।”

তবে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার শ্রীপতি মুখোপাধ্যায় ফোন না ধরায় বিষয়টি নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন