চলছে কেনাকাটা। —নিজস্ব চিত্র।
ফ্যাশন ডিজাইনারদের নকশা করা পোশাক পরা, বুটিকে গিয়ে পছন্দসই জামাকাপড় কেনামেয়েদের পাশাপাশি এ সবে এখন সমান ভাবে ভাগ বসিয়েছে ছেলেরাও। উজ্জ্বল রঙের নানা নকশার টি-শার্ট, কুর্তা আর পাঞ্জাবি, পুজোর জন্য পছন্দ করে কেনার তাই রীতিমতো ধুম বাজারে।
দুর্গাপুরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেল, জিন্সের চাহিদা বরাবরের মতোই বেশি। ডেনিম, ন্যারো লুক বা কার্গো প্যান্টের সঙ্গে পরার জন্য অনেকেরই পছন্দ উজ্জ্বল রঙের টি-শার্ট। শপিংমলগুলিতে রকমারি রঙের টি-শার্টের সমাহার। স-গ্রিন থেকে লাল, সবুজ, এমনকী কাঁচা হলুদসবই রয়েছে সেখানে। শপিংমলের কর্মীরা জানালেন, দুর্গাপুরে ভিন্ রাজ্য থেকে অনেকেই আসেন পড়াশোনার জন্য। তাঁরা কেনাকাটা করছেন দেদার। নতুন প্রজন্মের ছেলেরা যেমন চুলের স্টাইল নিয়ে নিয়মিত চর্চা করেন, তেমনই রং বাছার ক্ষেত্রেও যথেষ্ট শৌখিন। তাই পাল্লা দিয়ে নিত্যনতুন রঙের জামাকাপড় আনতে হয়। খোঁজ নিয়ে দেখা গিয়েছে, নানা ব্র্যান্ডের টি-শার্টের গড়নেও এ বার বদল এসেছে। গতানুগতিক রং তো আছেই। এ বার থ্রিডি টি-শার্ট বেশ হিট।
পুজো এ বার তিন দিন। তা নিয়ে আফশোস যতই থাক, সাজগোজ নিয়ে কোনও ‘কম্প্রোমাইজ’ নয়। বেনাচিতির এক বস্ত্র বিপনির কর্ণধার জানান, সপ্তমীতে হাল্কা পোশাক, অষ্টমীতে ধুতি আর তসরের পঞ্জাবি, নবমীতে জিন্সের সঙ্গে চেক শার্টএই মোটামোটি এখনকার ট্রেন্ড। দশমীতে যে কোনও রঙের টি-শার্ট আর প্যান্ট। বাজার ঘুরে দেখা গেল, অন্য বারের মতোই এ বারও ফুলহাতা টি-শার্ট বেশ বিক্রি হচ্ছে। রঙয়ে আছে বৈচিত্র্য। চেকে থাকছে নতুনত্ব। তা ছাড়া অনেকেই সুতির ফুল-হাতা শার্টে নজর দিয়েছেন। সাবেক দোকান থেকে শপিংমল, এমন শার্ট ভালই বিকোচ্ছে। স্টেশন বাজারে কেনাকাটা করতে এসেছিলেন প্রবীণ সমর নস্কর। তিনি বললেন, “ছোটবেলা থেকে দর্জির তৈরি করে দেওয়া প্যান্ট-শার্ট পরে বড় হয়েছি। এখন কত সব নতুন নতুন শার্ট এসেছে। পরলে বেশ স্মার্টই লাগে।”
এ সবের মাঝেও পাঞ্জাবি কিন্তু ধরে রেখেছে তার পুরনো বাজার। বেনাচিতির ব্যবসায়ীরা জানান, রঙবেরঙের পাঞ্জাবি এবং রঙিন ধুতি বিক্রি হচ্ছে ভালই। তুলনায় হাল্কা রঙের পাঞ্জাবির কদর কমেছে। নতুন প্রজন্মের মতো বয়স্করাও ঘিয়ে বা সাদা রঙের পাঞ্জাবি ছেড়ে এখন রঙিনের দিকে ঝুঁকছেন। চোখ ধাঁধানো জারদৌসি কাজ করা রঙিন পাঞ্জাবি কিনছেন তাঁরা। মহিলা-পুরুষ, নবীন-প্রবীণসব ভেদাভেদ এ ভাবেই মুছে যাচ্ছে পুজোর বাজারে।