পানাগড়ে মমতা-মুকুলকে তোপ গৌতমের

লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে ফের স্বমহিমায় সিপিএম নেতা গৌতম দেব। শনিবার বর্ধমানে পানাগড় মিত্র সঙ্ঘের মাঠে জনসভায় তৃণমূল কর্মীদের সিপিএমে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়কে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি।

Advertisement

সুব্রত সীট

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০১৪ ০৩:২৮
Share:

পানাগড়ের সভায় সিপিএম নেতা গৌতম দেব। বিকাশ মশানের তোলা ছবি।

লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে ফের স্বমহিমায় সিপিএম নেতা গৌতম দেব। শনিবার বর্ধমানে পানাগড় মিত্র সঙ্ঘের মাঠে জনসভায় তৃণমূল কর্মীদের সিপিএমে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়কে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি।

Advertisement

এ দিন বর্ধমান-দুর্গাপুরের সিপিএম প্রার্থী সাইদুল হকের সমর্থনে নির্বাচনী জনসভায় এসে সারদা কাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে গৌতমবাবু বলতে থাকেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাওয়াই স্যান্ডেল পড়েন, সততার শেষ নেই। কালিম্পংয়ে গিয়ে রাত ১২টার সময় সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে কি বৈঠক করেছ? তোমায় জবাব দিতে হবে না?” তাঁর আরও অভিযোগ, “গত বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে মুকুলবাবু দলের বিধায়ক প্রার্থীদের ১৫-১৬ লক্ষ টাকা করে দিয়েছিলেন। একমাত্র উপেন বিশ্বাস সে টাকা নেননি। বাকি সবাই নিয়েছিলেন।” সিপিএম নেতার দাবি, “আমার কাছে সব কাগজ আছে। আদালতে দেখাব। আগেও বলেছি। এখানেও বলছি। আমি মিথ্যা বললে জেলে যাওয়া উচিত। হয় আমি, নয় মুকুল, জেলে এক জনকে যেতেই হবে। মুকুল এ বার তুমি রেডি হও।”

এ দিনের সভায় ভিড় হয়েছিল ভালই। কর্মীদের উদ্দেশ্য গৌতমবাবু বলেন, “রাজ্য তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে এখনও পর্যন্ত একটিও শিল্প কারখানা গড়ে ওঠেনি।” বর্তমানে তৃণমূল নেত্রীর সভায় ভিড় কমছে দাবি করে তিনি বলেন, “সেটা বুঝতে পেরেই উনি মাথা গরম করছেন।” মমতার ছবি বিক্রিকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি প্রাক্তন মন্ত্রী। তাঁর দাবি, “এখন পর্যন্ত চার বার ছবি বিক্রি করেছেন উনি। ছবি বিক্রি হয়েছে ৫০ লক্ষ টাকা, ১ কোটি, ২ কোটি টাকা দিয়ে। আসলে এটা হল দিদিগিরি। আমার ছবি কিনতে হবে। যে ছবি ৫ টাকাকেও বিক্রি হওয়ার নয়, সেটা বিক্রি হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে।”

Advertisement

এ দিন গৌতমবাবুর বক্তব্যে উঠে আসে জাতীয় রাজনীতির প্রসঙ্গওকেন্দ্রে ইউপিএ সরকারকে সমর্থন করার বদলে একশো দিনের কাজ,বনবাসী পাট্টা,তথ্য জানার অধিকারের মতো আইন বামপন্থীরা পাশ করিয়ে নিয়েছিলেন দাবি তিনি বলেন, “এ বার বিজেপি বা কংগ্রেস কেউই সরকার গড়তে পারবে না।

সন্ধ্যায় গৌতমবাবু পরের সভাটি করেন দুর্গাপুর শহরের চণ্ডীদাস বাজারে। সেখানে বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের নাম না করেও তিনি বলেন, “একটা ধর্মের ষাঁড় ছেড়ে রেখে দিয়েছেন। সঙ্গে নিয়ে সব জায়গায় ঘুরছেন। ওকে কিছু বলা যাবে না। ওর নাকি অক্সিজেনের সমস্যা আছে। আর উনিকে পুলিশকে বোমা মারতে বলছেন, বিরোধীদের বাড়ি জ্বালিয়ে দিতে বলছেন। আরও কত এমন ষাঁড় আছে কে জানে?” দল ছেড়ে যাওয়া কর্মীদের দলে ফিরে আসতে আহ্বান জানান গৌতমবাবু। যদিও হারানো ভোট সিপিএম কতটা পুনরুদ্ধার করতে পারবে, তা নিয়ে দলেই যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন