বারবার গয়না চুরি, ধরাল সিসিটিভি

ক্রেতা সেজে দোকানে ঢুকে গয়না হাত সাফাইয়ের ঘটনা ঘটছিল বারবার। কিন্তু দুষ্কৃতীদের ধরা যাচ্ছিল না। অবশেষে সিসিটিভি-র সাহায্যে একটি গয়নার দোকান থেকে চুরির অভিযোগে দু’জন মহিলাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক মাসে আসানসোলের নানা গয়নার দোকান থেকে চুরির অভিযোগ দায়ের হয়েছে। কিন্তু কী ভাবে চুরি হচ্ছে, তার কিনারা করা যাচ্ছিল না। শেষে গত ১২ নভেম্বর আসানসোল বাজারের একটি বড় গয়নার দোকানের তরফে পুলিশের কাছে একটি সিসিটিভি ফুটেজ জমা দেওয়া হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৪ ০২:০৪
Share:

ক্রেতা সেজে দোকানে ঢুকে গয়না হাত সাফাইয়ের ঘটনা ঘটছিল বারবার। কিন্তু দুষ্কৃতীদের ধরা যাচ্ছিল না। অবশেষে সিসিটিভি-র সাহায্যে একটি গয়নার দোকান থেকে চুরির অভিযোগে দু’জন মহিলাকে গ্রেফতার করল পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক মাসে আসানসোলের নানা গয়নার দোকান থেকে চুরির অভিযোগ দায়ের হয়েছে। কিন্তু কী ভাবে চুরি হচ্ছে, তার কিনারা করা যাচ্ছিল না। শেষে গত ১২ নভেম্বর আসানসোল বাজারের একটি বড় গয়নার দোকানের তরফে পুলিশের কাছে একটি সিসিটিভি ফুটেজ জমা দেওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সে দিন দুই মহিলা ওই দোকানে ঢোকেন। তাঁরা সোনার কানের দুল দেখতে চাইলে দোকানের কর্মীরা তাঁদের সে সব দেখান। কিন্তু কোনওটিই পছন্দ নয় জানিয়ে কিছুক্ষণ পরে দোকান থেকে চলে যান মহিলারা। তার পরে দোকানের কর্মীরা খেয়াল করেন, বেশ কয়েকটি দুল-সমেত একটি বাক্সের হদিস নেই। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সন্দেহ হয়, ওই দুই মহিলা হাত সাফাই করে দুলগুলি চুরি করে নিয়ে গিয়েছেন। সেই ফুটেজ পুলিশের কাছে জমা দেন দোকানের মালিক রোহিত মেহারিয়া। লিখিত অভিযোগও করেন।

পুলিশ জানায়, ওই ফুটেজ অন্য গয়নার দোকানগুলিকে দেওয়া হয়, যাতে তাঁরা দুই মহিলাকে চিনে রাখতে পারেন। রবিবার রাতে আসানসোল বাজারের আর একটি গয়নার দোকানে ক্রেতা সেজে ঢোকেন ওই দুই মহিলা। তাদের দেখে চিনতে পারেন দোকানের কর্মীরা। তাঁরা পুলিশে খবর দেন। আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ গিয়ে প্রমীলা ঠাকুর ও কলাবতী দেবী নামে ওই দুই মহিলাকে গ্রেফতার করে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের বাড়ি বিহারের সাসারাম জেলার আলমগঞ্জে। সোমবার তাদের দু’জনকে আসানসোল আদালতে হাজির করানো হলে সাত দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। পুলিশের অনুমান, এই দুই মহিলা আরও কিছু জায়গায় এই কাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে। তাদের সঙ্গে একটি আন্তঃরাজ্য চক্রের যোগ আছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই চক্রের হদিস পেতে তাদের জেরা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন