বধূ হত্যার অভিযোগে পুলিশ মৃতার স্বামীকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের করঙ্গপাড়ায়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম পাপু দত্ত। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার বাবা শান্তিকুমার সেন অভিযোগে জানিয়েছেন, ২০০৬ সালে পুরুলিয়ার পারবেলিয়ার বাসিন্দা তাঁর মেয়ে ছন্দা দত্তের (৩০) বিয়ে হয় দুর্গাপুরের করঙ্গপাড়ার বাসিন্দা পাপু দত্তের সঙ্গে। শান্তিবাবু আরও জানিয়েছেন, বিয়ের পর থেকে পাপু তাঁর মেয়ের উপর শারীরিক অত্যাচার চালাত। সোমবার সকালে তাঁকে পাপু ফোন করে বলে, তাঁর মেয়ে অসুস্থ। হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরপর তিনি হাসপাতালে গিয়ে দেখেন, তাঁর মেয়ে মারা গিয়েছে। তিনি দাবি করেন, শ্বশুরবাড়ির লোকেরাই তাঁর মেয়েকে হত্যা করেছে। তিনি মেয়ের শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে তাঁর মেয়েকে হত্যার অভিযোগ দায়ের করেন কোকওভেন থানায়। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে মৃতার স্বামী পাপু দত্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
এ দিকে দুটি পৃথক বধূ নির্যাতনের ঘটনায় আসানসোল পুলিশ সোমবার চার জনকে গ্রেফতার করল। বারাবনি থানার পুলিশ জামুড়িয়ার কইথি থেকে এক মহিলার শ্বশুর ও দুই দেওরকে গ্রেফতার করেছে। অভিযোগ দায়ের করেছেন বারাবনির মদনপুর গ্রামের বাসিন্দা মফিজা বিবি। তিনি থানায় অভিযোগে জানিয়েছেন, ২০১৩ সালের ৪ জুলাই তাঁর সঙ্গে শেখ হাজিবুলের বিয়ে হয়েছিল। বেশ কয়েক দিন আগে তাঁকে শ্বশুর বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ দোমহানি এলাকা থেকে এক মহিলার স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় ধৃত মনোতষ দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁর স্ত্রী প্রতিমা দাস। তাঁর অভিযোগ, ২০০৮ সালের ৮ মে তাঁর বিয়ে হয়। স্বামী তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন।