ভাঙা পড়ে এটিএম, ক্ষোভ

দিন সাতেক আগে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে ভেঙে গিয়েছিল এটিএম কাউন্টারটি। অভিযোগ, গ্রাহকেরা বারবার জানানো সত্ত্বেও ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক মেশিনটি সারানোর কোনও উদ্যোগ করেনি। এমনকী ঘরের মধ্যে পড়ে থাকা দরজার ভাঙা কাঁচের টুকরোও পরিস্কার করেনি। শহরে ওই ব্যাঙ্কের আর কোনও এটিএম না থাকায় বিপাকে পড়েছেন গ্রাহকেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০১৪ ০১:০৫
Share:

পড়ে কাঁচের টুকরো। —নিজস্ব চিত্র।

দিন সাতেক আগে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে ভেঙে গিয়েছিল এটিএম কাউন্টারটি। অভিযোগ, গ্রাহকেরা বারবার জানানো সত্ত্বেও ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক মেশিনটি সারানোর কোনও উদ্যোগ করেনি। এমনকী ঘরের মধ্যে পড়ে থাকা দরজার ভাঙা কাঁচের টুকরোও পরিস্কার করেনি। শহরে ওই ব্যাঙ্কের আর কোনও এটিএম না থাকায় বিপাকে পড়েছেন গ্রাহকেরা।

Advertisement

শুক্রবার ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, এটিএমের সামনে ও ভেতরে ছড়িয়ে রয়েছে অজস্র কাঁচ। মূল দরজাটিও ভাঙা। ফলে কোনওভাবেই এটিএমটি ব্যবহার করতে পারছেন না গ্রাহকেরা। ওই ব্যাঙ্কের এক গ্রাহক, ৩ নম্বর ইছলাবাদের বাসিন্দা পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “বর্ধমান শহরে ওই ব্যাঙ্কের একটিই এটিএম রয়েছে। কিন্তু ভাঙা এটিএম সারানোর ব্যবস্থা করছে না ব্যাঙ্ক। ফলে ব্যাঙ্কে গিয়ে টাকা তুলতে হচ্ছে। এতে সময় নষ্ট হচ্ছে। হয়রান হচ্ছেন গ্রাহকেরা।” ব্যাঙ্কের আর এক গ্রাহক, ইছলাবাদের বাসিন্দা গৌরব সামন্তের কথায়, “এলাকার অনেকেই ওই এটিএমের উপর নির্ভর করে থাকেন। অন্য ব্যাঙ্কের এটিএমের সংখ্যাও এলাকায় খুবই কম। ফলে বিপাকে পড়েছেন এলাকার মানুষ।”

যে পেট্রোল পাম্পের জায়গায় ওই এটিএমটি তৈরি হয়েছে তার মালিক স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “প্রায় সপ্তাহখানেক আগে এক রাতে দুষ্কৃতীরা ওই এটিএম ভেঙে টাকা লুঠের চেষ্টা করে। আমাদের পাম্পের ও পাশের একটি আবাসনের প্রহরীরা জেগে যাওয়ায় অবশ্য তাদের উদ্দেশ্য সফল হয়নি। কিন্তু তার মধ্যেই ওই দুষ্কৃতীরা এটিএম গেটের তালা ভেঙে মেশিনটি ভাঙচুর করে।” তাঁর অভিযোগ, “আমি পুলিশ, তেল সরবরাহকারী ওই সংস্থা ও ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে ঘটনার কথা জানিয়েছি। কিন্তু সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও এটিএমটি সারানো তো দূরের কথা, ভেঙে পড়া কাঁচের টুকরোগুলোও সরাতে পারেনি ব্যাঙ্ক।”

Advertisement

ওই ব্যাঙ্কের বর্ধমান শাখার ম্যানেজার রাজিন্দর মাহাতোর অবশ্য দাবি, “দুষ্কৃতীদের হামলা ও ভাঙচুরে এটিএমটি যে অচল হয়ে পড়ে রয়েছে তা আমরা জানি। এটিএমের মেশিনটি ঠিক আছে। তবে সামনের কাঁচ ও গেট মেরামত করা দরকার। যত দ্রুত সম্ভব সেগুলি সারানো হবে।”

কিন্তু এতদিন তা করা হয়নি কেন? ম্যানেজার বলেন, “আসলে এই ধরনের ঘটনা ওপর মহলে জানাতে হয়। সিদ্ধান্ত নেন পদস্থ অফিসারেরা। তাতেই কিছুটা দেরি হয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন