ভোটের প্রচারে আসানসোল যাওয়ার পথে বর্ধমানে দলের জেলা কমিটির দফতরে এসেছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী তথা সিপিএম নেতা মানিক ভট্টাচার্য। বুধবার সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, “এই রাজ্যে ভোট নিয়ে মানুষের মধ্যে একটি ভীতির পরিবেশ রয়েছে। সে কারণেই আমাদের সভায় এখন তুলনায় কম মানুষ আসছেন।” তবে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থা প্রকাশ করেন তিনি। মানিকবাবু বলেন, “তবে নির্বাচন কমিশন যে ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে, তাতে আমাদের আস্থা রয়েছে। গত পঞ্চায়েত বা পুরভোটের মত এই রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনে ভোট লুঠ হবে না বলেই আমাদের আশা।”
এ দিন তিনি চিটফান্ডে সিবিআই তদন্ত চেয়ে বলেন, “চিটফান্ডগুলির জাল কয়েকটি রাজ্যে বিস্তৃত। একটি রাজ্যের পুলিশের পক্ষে অন্য রাজ্যে গিয়ে এই ব্যাপারে তদন্ত করতে পারবে না। তাই কেন্দ্রীয় সংস্থা হিসেবে সিবিআই-ই ওই আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত করুক।” এছাড়া বামেদের আসন বাড়বে বলেও দাবি করেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে সংখ্যা না বললেও ত্রিপুরাতে বামেরা দু’টি লোকসভা আসন পাবে বলে তাঁর দাবি।
এ দিন রানিগঞ্জের ময়দানে সিপিএমের একটি নির্বাচনী সভাতেও গিয়েচিলেন তিনি। সেখানে জাতীয় রাজনীতির প্রসঙ্গ টেনে কংগ্রেস ও বিজেপিকে আক্রমণ করেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, “পাঁচ বছর আগে রাহুল গাঁধী যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তার একটাও পালন করা হয়নি। এখন মানুষকে বোকা বানাতে ওই একই প্রতিশ্রুতির বুলি আওড়ানো হচ্ছে।”
বিজেপির সমালোচনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, “শিবসেনা ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সমর্থনে তৈরি বিজেপি হিন্দু রাষ্ট্র বানাবার চেষ্টা করছে। বাকি সম্প্রদায়ের মানুষরা যাবেন কোথায়?” তাঁর দাবি, নতুন সরকারের তিন বছরে শুধুমাত্র বর্ধমান জেলাতেই ৬৫ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। মানুষ অনেক স্বপ্ন নিয়ে এ রাজ্য পরিবর্তন করলেও সেই স্বপ্ন সফল হয়নি বলেও দাবি করেন এই সিপিএম নেতা। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের বর্ধমান জেলা সম্পাদক অমল হালদার।