পলসোনা

লুঠ করে পালাতে গিয়ে গণপিটুনিতে নিহত দুই

সারের দোকান থেকে টাকা লুঠ করে পালানোর সময় স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতে ধরা পড়ে যায় দুই দুষ্কৃতী। মুহূর্তে আরও লোক জড়ো হয়ে মাঝমাঠেই শুরু হয়ে যায় গণপিটুনি। কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় ওই দুই দুষ্কৃতীর। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কাটোয়ার পলসোনা গ্রামের কাছে ওই ঘটনাটি ঘটে। তবে রাত পর্যন্ত মৃতদের পরিচয় জানতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাটোয়া-মালডাঙা রোডের উপর পলসোনা থেকে আউরিয়া যাওয়ার পথে বাঁ দিকে একটি সারের দোকান রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাটোয়া শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:৫২
Share:

সারের দোকান থেকে টাকা লুঠ করে পালানোর সময় স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতে ধরা পড়ে যায় দুই দুষ্কৃতী। মুহূর্তে আরও লোক জড়ো হয়ে মাঝমাঠেই শুরু হয়ে যায় গণপিটুনি। কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় ওই দুই দুষ্কৃতীর। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কাটোয়ার পলসোনা গ্রামের কাছে ওই ঘটনাটি ঘটে। তবে রাত পর্যন্ত মৃতদের পরিচয় জানতে পারেনি পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাটোয়া-মালডাঙা রোডের উপর পলসোনা থেকে আউরিয়া যাওয়ার পথে বাঁ দিকে একটি সারের দোকান রয়েছে। অভিযোগ, সন্ধ্যার পরে ওই দোকানেই আচমকা ঢুকে পড়ে ৬ জনের একটি দল। ঢুকেই পা দিয়ে ডোকানের সাটার নামিয়ে দেয় তারা। তারপরে মালিকের দুই ভাইয়ের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে। টাকা মিলতেই মন্তেশ্বরের বামুনপাড়া বিল দিয়ে পালানোর পথ ধরে ওই দুষ্কৃতীরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দোকানের ভিতর ও বাইরে মিলিয়ে ১০-১২ জন দুষ্কৃতী ছিল। তার মধ্যে বেশ কয়েকজন মালডাঙামুখী কাটোয়া-মালডাঙা রুটের বাসে করে ৬টা ২০ মিনিট নাগাদ পলসোনা বাসস্টপে নেমেছিল। এ দিকে, দুষ্কৃতীরা বেরোতেই দোকানের দু’জন ‘ডাকাত’, ‘ডাকাত’, বলে চিত্‌কার করতে শুরু করে। চিত্‌কার শুনে অন্ধকারের মধ্যেই দুষ্কৃতীদের পিছনে খেতজমি দিয়ে ছুটতে শুরু করেন পলসোনা গ্রামের ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ মানুষ। সারের দোকান থেকে ফোন করে পুলিশকেও টাকা লুঠের ঘটনা জানানো হয়। ইতিমধ্যে গ্রামবাসীরা পিছন দিক থেকে লাঠিসোঁটা নিয়ে দুষ্কৃতীদের ঘিরে ধরে।

বাসিন্দাদের অভিযোগ, কাটোয়া-মন্তেশ্বর রোড থেকে খেতজমি পেরিয়ে আধ কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে পড়লেও গ্রামবাসীরা দুষ্কৃতীদের পিছু ছাড়েন নি। ততক্ষণে গ্রামবাসীদের হাতে তিন দিক দিয়ে আটকে গিয়েছে বুঝে দুষ্কৃতীরা খেতজমির উপরেই বেশ কয়েকটি বোমা ফাটায়। শূন্যে কয়েক রাউন্ড গুলিও ছোড়ে। বোমা-গুলির শব্দ শুনে পাশের আউরিয়া গ্রামের বাসিন্দারাও বেড়িয়ে পড়েন। পুলিশ জানিয়েছে, কয়েকজন দুষ্কৃতী বিল দিয়ে পালাতে সক্ষম হলেও বাসিন্দাদের হাতে দু’জন ধরা পড়ে যায়। শুরু হয় গণপিটুনি। পুলিশ পৌঁছনোর আগেই একজন মারা যান, অন্যজন খেত জমি থেকে তুলে নিয়ে আসার পথেই মারা যায়। ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “পরিচয় না জানা গেলে পুলিশ নিজেই গণপিটুনির অভিযোগে মামলা রুজু করবে। পাশাপাশি ওই দুষ্কৃতীরা গ্রামবাসীদের কাছে কয়েকজনের নাম বলেছে, কোন এলাকা থেকে এসেছে সে কথাও নাকি জানিয়েছে। আমরা সব দিকটাই খতিয়ে দেখছি।”

Advertisement

জুয়াড়ি গ্রেফতার। সোমবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে ৪ জন জুয়াড়িকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রানিগঞ্জের বন্ধ বার্ন স্ট্যান্ডার্ড কারখানার সামনে থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম জাকির হোসেন, মহম্মদ সাহাবুদ্দিন, শেখ কিসমত আলি ও মদন নন্দী। ধৃতরা স্থানীয় বাসিন্দা। পুলিশের এক কর্তা জানান, স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগের ভিত্তিতে এই অভিযান চালিয়ে নগদ ১১,৩৫০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। জুয়ার আসরে ছিল মোট ১০ জন থাকলেও বাকিরা পলাতক। ধৃতদের মঙ্গলবার আসানসোল আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাদের ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন