আসানসোলে বিবেকানন্দ গোল্ড কাপের একটি মুহূর্ত। রবিবার ছবিটি তুলেছেন শৈলেন সরকার।
সকাল দেখে সব সময় বোধহয় বাকি দিনটা আন্দাজ করা যায় না।
রবিবার আসানসোল স্টেডিয়ামে বিবেকানন্দ গোল্ড কাপের ফাইনাল অন্তত তেমন ধারণাই দিয়ে গেল।
প্রগতি আয়োজিত এই প্রতিযোগিতার ফাইনালে এ দিন মুখোমুখি হয়েছিল সিএলডব্লিউ এবং মোহনবাগান-সেল অ্যাকাডেমি। প্রথমার্ধে সিএলডব্লিউয়ের ঘনঘন আক্রমণ দেখে মনে হয়নি অ্যাকাডেমির ছেলেরা শেষ পর্যন্ত হাসিমুখে মাঠ ছাড়তে পারবে। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য মোহনবাগান-সেল ফুটবলারেরা অনেক গুছিয়ে খেলে। তবে গোল হয়নি। টাইব্রেকারে ৫-৩ গোলে জিতে শেষ হাসি মোহনবাগান-সেল অ্যাকাডেমিরই।
দর্শকে ভরা স্টেডিয়ামে খেলার শুরু থেকেই বিপক্ষের বক্সে বারবার হানা দিচ্ছিলেন সিএলডব্লিউ খেলোয়াড়েরা। ৩৫ মিনিটের অর্ধে ২৮ মিনিটের মাথায় মাত্র এক বারই মোহনবাগান অ্যাকাডেমি প্রতি আক্রমণে গিয়েছিল। কিন্তু বল বেরিয়ে যায় বারের উপর দিয়ে। বাকি সময়টা সকলে মিলে সিএলডব্লিউয়ের আক্রমণ সামলাতেই ব্যস্ত ছিল অ্যাকাডেমির খেলোয়াড়েরা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সিএলডব্লিউয়ের সোহারাবুদ্দিনের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। তবে তার পরেই মোহনবাগান-সেল আক্রমণে যেতে শুরু করে। দু’টি দলই বার চারেক করে গোল করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করলেও বল জালে জড়ায়নি। তবে দ্বিতীয়ার্ধের একটা সময় থেকে দু’দলের খেলা দেখে মনে হচ্ছিল, কোনও মতে নির্ধারিত সময় পার করাই উদ্দেশ্য। বারবার ফাউল, বল বাইরে পাঠানোর খেলা দর্শকদের হতাশ করে। দু’দলের দু’জন করে মোট চার জন হলুদ কার্ড দেখেন। আসানসোলের প্রাক্তন ফুটবল কোচ দেবব্রত ঘোষ, এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ম্যানেজার সুমিত বসুদের কথায়, “দ্বিতীয়াধের্র্ মোহনবাগান-সেল অনেকটা গুছিয়ে নিয়েছিল। তবে দু’দলের খেলাতেই বোঝাপড়ার অভাব চোখে পড়েছে।” ফাইনালের সেরা জয়ী দলের সৈকত দাস। প্রতিযোগিতার সেরা বিজিত দসের সুবোধ কুমার। খেলা পরিচালনা করেন অনিমেষ দাস, সুখেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়, অরুণ রায় ও লক্ষ্মণ বাউড়ি।
এ দিন প্রগতির পক্ষে ১২ জন কৃতী ছাত্র এবং আসানসোল রামকৃষ্ণ মিশনের সম্পাদক সুখানন্দ মহারাজের হাতে তাঁদের ত্রাণ তহবিলের জন্য পাঁচ হাজার টাকা করে অনুদান তুলে দেয়। পুরস্কার বিতরণ করেন দুই প্রাক্তন ফুটবলার কৃষ্ণেন্দু রায় ও তরুণ দে।